গরমে গায়ের চামড়া জ্বলে পুড়ে যাক, তাদের বোঝা বয়ে চলতেই হবে! শাদা লোকগুলোর আর কি···তারা ভুলেও রোদে আসে না···সব সময়ে তারা তাদের ছাউনীর ছায়ার ভেতরে থেকে শুধু হুকুম দিয়েই খালাস···সুতরাং, বুঝছো তো, নিগ্রোদের চামড়া কতখানি শক্ত!
হায় শাদা-চামড়া! হায় রে শাদা চামড়াওয়ালা!
মশা দেখলেই তারা ক্ষেপে ওঠে। গালাগাল দিতে শুরু করে। মশার ডাক শুনলেই তাদের মেজাজ বিগড়ে যায়। ভাঙা কুঁড়ে ঘরের ফাটলে কিম্বা পুরানো ভাঙা বাড়ীর পাথরের তলায় যে সব বিছে থাকে, কালো কালো সব “প্রাকঙ্গো”, যমের মতন ওরা তাদের ভয় করে। ঘরের আশে-পাশে বন-জঙ্গলে যে সব মাছি ঘুরে বেড়ায়, তাদের জন্যেও ভয়ে ওদের ঘুম ছুটে যায়। আমাদের আশে-পাশে চারদিকে যে সব ছোট ছোট প্রাণী, খাচ্ছে দাচ্ছে ঘুরে বেড়াচ্ছে, যারা মানুষ বলে নিজেদের পরিচয় দেয়, তারা কেন তাদের দেখলে এত ভয় পাবে? কেন তাদের জন্যে রাতদিন এতো দুর্ভাবনা? হায়রে শাদা চামড়া! হায়রে শাদা চামড়াওয়ালার দল!
শাদা লোকগুলোর পা? জঘন্য! পা, না খেলনা? রাতদিনই বাক্সের ভেতর পা দুটোকে বন্ধ করে রেখে দেয়···লাল, নীল, হলদে কত রকমের চামড়া দিয়ে বেঁধে লুকিয়ে রাখে! কেন, পায়ে ঘা হয়েছে নাকি? তাই রাতদিন বেঁধে রাখতে হবে?
২৮