পাতা:এরাও মানুষ - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৫০).pdf/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সম্বন্ধে তাঁর একখানি নাটিকা সযত্নে সেই গ্রন্থাবলী থেকে বাইরে রাখা হয়েছে। কারণ সেই নাটিকাতে বেনাভান্তে, ভারতে ইংরেজ–শাসনের ছদ্ম-কল্যাণের গর্বকে ফাঁস করে দিয়েছিলেন।

 এই থেকে বোঝা যায়, কেন তা ইংরেজী-জানা জগতে প্রচার লাভ করে নি। এই অনুবাদ-কার্যের ভার, ইংলণ্ড আর আমেরিকার সাহিত্যিকদের এবং প্রকাশকদের ওপর। এই দুই জাতির রাজনৈতিক ধর্মের সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদ এবং ধনতান্ত্রিকতা, এবং তার অবিচ্ছেদ অঙ্গস্বরূপ জগতের দুর্বল ও ক্ষুদ্রজাতিদের নিষ্পেষণ ও শোষণ বিশেষভাবে বিজড়িত। শ্বেতাঙ্গজাতিরা ঊনবিংশ-শতাব্দীতে তাদের নব-লব্ধ বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষতার দরুণ সমগ্র জগতে নিজেদের সভ্যতাকে এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করে যেন, বিশ্ব-সভ্যতার তারাই হল উদ্ধারকর্তা এবং তার অনিবার্য ফলস্বরূপ তারা জগতের কৃষ্ণকায় অসভ্য জাতিদের উদ্ধার করবার মহৎ ব্রত নিয়ে তাদের রাজ্য দখল করে নেয়। বিজ্ঞানের সংস্পর্শ থেকে অসহায়ভাবে দূরে থাকতে বাধ্য হয়ে এই সব কৃষ্ণাঙ্গজাতি এই পাশ্চাত্য আক্রমণকে প্রতিরোধ করবার কোন শক্তিই পায় নি, তাই এই প্রবলের নির্দেশকে মাথা পেতে স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয়। তার ফলে, এশিয়া ও আফ্রিকা, এই দুই মহাদেশে সেদিন সভ্যতার আত্মবিস্তারের নামের আড়ালে যে বীভৎস মানবতার লাঞ্ছনা সজ্ঞানে সংঘটিত