“এক চাঁদ, দু চাঁদ ধরে, তোমরা যেখানে খুশী, যেভাবে খুশী শুয়ে রাত কাটিয়েছো! এক চাঁদ, দু চাঁদ ধরে তোমরা কোন খেলা, কোন হাসি, কোন রঙ্গতামাসায় নিজেদের কর নি নষ্ট।
“ভগবান নাঙ্গাকৌরা তাই তোমাদের ওপর হয়েছেন সন্তুষ্ট। দু চাঁদ ধরে এই কঠিন পরীক্ষায় তোমরা উত্তীর্ণ হয়েছো। এখন তোমরা সকলের সামনে হাসতে পার, খেলতে পার, নাচতে পার, এখন তোমরা যে-যার বোগ্বো শুতে পারো।
“এখুনি তোমরা পুরুষ হবে। এখুনি তোমরা স্ত্রীলোক হবে। গান্জার ছুরি এখুনি তোমাদের সে-গৌরব এনে দেবে।
“তাই নাচো, গাও, উৎসব করো।”
চারদিক থেকে ওঠে উন্মাদ রব,
গান্জা, গান্জা, গান্জা···
গান্জার লগ্ন এগিয়ে আসে। ওঝারা ছুরিতে শাণ দিয়ে ঠিক করে নেয়। আঘাত গ্রহণ করবার জন্যে গান্জার উদ্দিষ্ট তরুণ-তরুণীরা প্রস্তুত হয়। বালাফোন, লিংখা, কৌন্দে, তাদের যত রকমের বাজনা ছিল, সব একসঙ্গে তারস্বরে বেজে ওঠে। যেন যন্ত্রণার চীৎকার সেই শব্দের মধ্যে ডুবে যায়।
শুরু হয়ে যায়, লিঙ্গচ্ছেদের অনুষ্ঠান।
একটা বড় পাথরের ওপর থুতু ফেলে, পুরোহিতেরা শেষবারের মত ছুরি শাণ দিয়ে ঠিক করে নেয়।
৮২