পুরোহিতদের সাহায্যকারীরা হাতে ছড়ি নিয়ে এগিয়ে আসে। যাদের লিঙ্গোচ্ছেদ হবে তাদের পিঠে নিয়মিতভাবে প্রহার করে চলে। সেই প্রহারের ফলে তারা ক্রমশ অচৈতন্য হয়ে আসে। যদি কেউ যন্ত্রণায় চীৎকার করে ওঠে, অথবা পড়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে, মানুষ হবার অযোগ্য সে। তার বেঁচে থাকবার কোন দরকার নেই। সেইখানেই প্রহারে প্রহারে তার অবশিষ্ট প্রাণটুকু কেড়ে নেওয়া হয়। এই লোকাচার···অনাদিকাল থেকে চলে আসছে।
যে-তরুণর্টির ওপর সর্ব প্রথম এই পরীক্ষা চলছিল, সে উন্মাদ চঞ্চলতায় মৃত্যুকে তুচ্ছ করে উল্লম্ফন করতে থাকে, জনতা উল্লাসে বাহবা দিয়ে ওঠে, মানুষ হবার যোগ্য সে।
প্রত্যেক লাফের সঙ্গে তার রক্তাক্ত দেহ থেকে রক্ত ছিটকে গিয়ে পড়ে নিকটবর্তী জনতার গায়ে। তাকে দেখাতে হবে, তার কোন যন্ত্রণাই হচ্ছে না। আনন্দে নাচতে নাচতে তাকে গাইতে হবে
‘গান্জ··· গান্জা···গান্জা···
জীবনে শুধু একবার···′
বৃদ্ধ ওঝা দুজন চারিদিকের উন্মাদ কলরবের মধ্যে সম্পূর্ণ নিস্পৃহভাবে নিজেদের কাজ করে চলে। যন্ত্রচালিতের মত তাদের হাতের কাঁচা চামড়া কেটে চলে, তারা যেন কিছুই শুনতে না, কিছুই দেখতে পাচ্ছে না। পাচ্ছে মাঠে যখন শস্য পেকে
৮৩