একদিন মাত্র আসে এই প্রণয়-নৃত্যের রাত। এই রাতে তারা অবাধে ছেড়ে দেয় তাদের মনের সমস্ত কামনা, বাসনা আর প্রবৃত্তিকে। এই রাতে অসংযম আর অনিয়ম পায় সামাজিক অনুমোদন। অপরাধহীন অনাচারের মধু রাত
দেখতে দেখতে প্রত্যেক বাদক যে-যার যন্ত্র নিয়ে অপরের সঙ্গে তুমুল প্রতিযোগিতা শুরু করে দেয়। এতক্ষণ পরে যোগ দেয়, বৃহৎ-আকার সব শিঙ্গা। তাদের তুমুল চীৎকারে বাতাস কেঁপে কেঁপে ওঠে। সে চীৎকারে শিকারী পাখীরা নীড় ছেড়ে উৎসব-ক্ষেত্রের ওপর ঝাঁক বেঁধে ঘুরতে থাকে।
সেই তুমুল যন্ত্র-কোলাহলের মধ্যে, দুটি নারী এগিয়ে আসে, একজন ইয়াসীগুইন্দজা, বাতোয়ালার প্রধানা মহিষী, আর একজন তরুণী, এখনো কোন পুরুষের স্বামীত্বের চিহ্ন তার দেহের ওপর পড়েনি।
দুজনেই নগ্ন, পরিপূর্ণ নগ্ন দেহ। সারা অঙ্গে শুধু কাঁচের নানা রকমের গহনা, গলায়, কোমরে, হাতের কব্জীতে, পায়ে। সারা অঙ্গে মেটে লাল রঙের প্রলেপ।
এ ছাড়া ইয়াসিগুইন্দজার অঙ্গে একটা লাল রঙের কাঠের প্রতীক চিহ্ন, কোমরে গহনার সঙ্গে ঝুলতে থাকে। আজকের এই নাচের উৎসবে সে যে প্রধানা, তারই চিহ্ন।
ইয়াসীগুইন্দজা নাচতে শুরু করে। প্রথমে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে শুধু কোমর আর উরুদেশ নাচাতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে দুলতে
৮৫