থাকে সেই কাঠের প্রতীক।
তারপর ধীর পদক্ষেপে সে অপেক্ষমান তরুণীটির দিকে এগিয়ে আসে। তাকে হাত বাড়িয়ে আমন্ত্রণ জানাতে, তরুণীটি কয়েক পা পিছনে সরে যায়। প্রত্যাখ্যান। তরুণী তার ভঙ্গী দিয়ে জানিয়ে দেয়, এমনিভাবে পুরুষের কামনার আগুনে নিজেকে আহুতি দিতে সে চায় না। নানা অঙ্গভঙ্গী করে সে লাফাতে থাকে। যেন সে ভীত। ইয়াসীগুইন্দজা যেন তার প্রণয়-প্রার্থী পুরুষ।
তরুণীর প্রত্যাখ্যানে প্রণয়ী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। দুরন্তভাবে মাটীতে পা ঠুকে ঠুকে সে তার অন্তরের ক্ষোভকে নিবেদন করে। তরুণীটির ভয় যেন একটু একটু করে ভেঙ্গে যায়। দূর থেকে সে নিজেকে সমর্পণ করবার ভঙ্গী করে।
দ্রুত ছুটে যায় প্রণয়ী তার কাছে, তাকে আলিঙ্গনে বদ্ধ করে। কিন্তু তরুণী কপট লজ্জায় তখনও মুখ ঘুরিয়ে নেয়। আলিঙ্গন থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে দূরে সরে দাঁড়ায়। দু হাত দিয়ে চোখ ঢেকে থাকে। শুরু হয়, শিকার। শিকারী তেড়ে যায়, শিকার ছুটে পালায়। থমকে দাঁড়ায়, দু পা এগোয়, আবার ছুপা পিছিয়ে যায়। শিকারী ক্রমশ উন্মাদ হয়ে ওঠে। উন্মাদ আক্রমণে শিকারকে জড়িয়ে ধরে, নিজের দেহের সঙ্গে যেন পিষে ফেলে। চোখে, মুখে ফুটে ওঠে কামনার বীভৎস নিলর্জতা। শিকার আত্মসমর্পণ করে।
৮৬