ভাবে তারা নাচড়ে পারে না, তবুও সেই নৃত্যের উত্তাল তরঙ্গে তারা নিজেদের ভাসিয়ে দেয়, কারণ আজিকার দিনের এই নৃত্য, প্রণয়-নৃত্য, তাদের উৎসব-জীবনের সর্বোত্তম অনুষ্ঠান, আদিম কাল থেকে এই নৃত্য দিয়ে এসেছে তাদের জীবনে নিবিড় আনন্দের প্রেরণা···অস্তিত্বের স্বাদ···
তারা নেচে চলে। অবিশ্রান্ত···অবিরাম। গ্রীষ্ম দিনের পর যখন প্রথম বর্ষার ধারা মাটিতে এসে পড়ে, সেই সময় জলের সংযোগে তপ্ত মাটি থেকে যে-রকম বাপু ওঠে, তেমনিধারা একটা বাষ্প যেন তাদের অঙ্গ থেকে সমস্ত বাতাসকে আচ্ছন্ন করে ফেলে।
সহসা সেই উন্মাদ নৃত্য-উৎসবের মধ্যে, কারা দুজন মাটিতে পড়ে গেল···বাতোয়ালা ক্ষিপ্ত শার্দুলের মতন তাদের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে···হাতে ঝক্মক্ করে ওঠে শাণিত ছুরিকা···
উত্তেজিত ঘোড়ার মতন সফেন হয়ে ওঠে মুখ।
আঘাত করবার জন্যে হাত তোলে।
কিন্তু হাত তোলা আর আঘাত করার মধ্যে যেটুকু অবকাশ, তার ভেতর, যে দুজন পড়ে গিয়েছিল, তারা উঠে বাতোয়ালার হাতের বাইরে গিয়ে দাড়ায়, ইয়াসীগুইন্দজা আর বিসিবিংগুই।
তারা উৎসবক্ষেত্র থেকে ছুটে পালায়।
বাতোয়ালা তাদের পেছনে তাড়া করে ছোটে···
এত বড় আস্পর্দ্ধা! কুকুরের বাচ্ছা, ঐ বিসিবিংগুই আর
৮৮