—আজ্ঞে, হুজুর!
এইবার খোঁজ পড়ে ষ্টেশন-প্রহরীর, যার জিম্মায় এই মাঠ ছিল।
কমাণ্ডার জিজ্ঞাসা করে, আর সেই শূয়োরের বাচ্ছা বৌলা···সেই খোঁড়া কুকুরটা কোথায়? এই যে, একেবারে হুজুরে হাজির দেখছি! গুড মর্নিং খোঁড়া কোলা ব্যাঙ!
বৌলা কাঁপতে কাঁপতে উত্তর দেয়, গুড মর্নিং স্যার!
কমাণ্ডার তেমনি ব্যঙ্গের সুরে আদেশ দেয়, আমার অবর্তমানে যাতে অতঃপর আপনি ষ্টেশনের চৌকিদারী কাজে আরো একটু তৎপর হতে পারেন, তার জন্যে আপনাকে পনেরো দিন ঠাণ্ডা গারদে বাস করতে হবে এবং এক সপ্তাহের মাইনে কাটা যাবে। বুঝলেন? দাঁড়িয়ে দেখছিস্ কি? দূর হও···দূর হও আমার সামনে থেকে! নিতান্ত ভাগ্য ভাল যে এত কমে এবারের মতন তোমাকে রেহাই দিলাম···
তারপর সার্জেণ্টের দিকে চেয়ে আদেশ দিলো, সিল্লাতিগুই! আজকের মতন সৈন্যদের সকলকে ছুটি দাও! বিশ্রাম! আজ রবিবার···সবাই বিশ্রাম করুক! বুঝলে? যাও, এদের ছুটি দিয়ে দাও!
দেখতে দেখতে সৈন্যরা চলে যায়। কিন্তু সেই ঘুমন্ত বৃদ্ধ তখনও একলা পড়ে থাকে···তখন ভোর হয়ে আসছে···গ্রীষ্মদিনের রাত-প্রভাতের
৯২