পাতা:এরাও মানুষ - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৫০).pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নেই, কোন কুয়াশার জ্বালা নেই, কোন হিমের কাঁপুনি নেই। কোন কাজ করবার তাগাদা নেই। কোন খাজনা দিতে হবে না, কোন বোঝা বইতে হবে না। কেউ কম দামে জিনিস ঠকিয়ে নেবে না, খেসারতের দাবীর জন্যে কেউ সৈন্য পাঠাবে না। পরিপূর্ণ শান্তি···অবাধ আরাম! কোন কিছু পাবার জন্যে মেহনত্ও করতে হবে না, অপূর্ণ বাসনার জ্বালাও ভুগতে হবে না। না চাইতেই সেখানে সব পাওয়া যায়, অমনি, বিনা মূল্যে···এমন কি স্ত্রীলোক পর্যন্ত।

 যেদিন থেকে তাদের দেশে বিদেশী সৈনিকরা এসে বসেছে, সেদিন থেকে ভালমানুষ নিগ্রোদের একমাত্র কামনার বস্তু হয়ে উঠেছে, মরণ, এই দেশ ছেড়ে সেই নাঙ্গাকৌরার দেশে যাওয়া। দাসত্বের যন্ত্রণা থেকে একমাত্র মুক্তির উপায়।

 সেদিন থেকে তাদের একমাত্র আনন্দ পাবার জায়গা হলো ঘন-অন্ধকার লতাগুল্মের ওপারে সেই সুদূর সব-পাওয়ার দেশ, যেখানে তারা শুনেছি শাদা-লোকদের প্রবেশ নিষেধ।


চতুর্থ পরিচ্ছেদ

 প্রাচীন প্রথা-অনুযায়ী বাতোয়ালার পিতার প্রাণহীন দেহকে তারা গাছের গুঁড়ির সঙ্গে বেঁধে রাখলো, আট দিন আর আট রাত্রি ধরে গ্রামের সমস্ত মেয়েরা মৃতদেহকে ঘিরে কাঁদলো, অঝোরে বিলাপ করলো। অশৌচের চিহ্নস্বরূপ

৯৪