পাতা:এলিজিবেথ.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* > 8 এলিস্তুি লেথ । য়াছিলেন, ক্রমে ক্রমে সমস্তই বিবরণ করিয়া কহিতে এবং যে সকল বিপদের হস্ত হইতে পরিত্রাণ পাইয়াছিলেন, তাহারও আদ্যোপান্ত বর্ণনা করিয়া শুনাইতে লাগিলেন। অনন্তর ভূত্যের গৃহমধ্যে অগ্নিকুণ্ডের নিকটে অতিথি মহাশয়ের জন্য শয্যা প্রস্তুত হইলে পর, তিনি ভল্লুকের চৰ্ম্মে সৰ্ব্বাঙ্গ আবৃত করিয়া তথায় যাইয়া শয়ন করিলেন । অতি প্রত্যুষে এলিজিবেথ গাত্রোথান করিয়া আস্তে আস্তে সেই অতিথি মহাশয়ের শয়ন গৃহের দ্বারে যাইয়। উপস্থিত হইলেন এবং শুনিতে পাইলেন, যে তিনি অনতিপূৰ্ব্বেই উঠিয়া উপাসনায় তৎপর হইয়া আছেন। এলিজিবেথ গত রাত্রিতে পিতা মাতার সম্মুখে প্রস্থান বিষয়ের কোন কথাই কহিবার সাহস করিতে সমর্থ হন নাই । এই জন্য তিনি সবিনয় সম্বোধনে প্রার্থনা করিলেন। “ ধৰ্ম্মপিতা মহাশয়! আমি গোপনে আপনার সহিত কিছু কথোপকথন করিতে আইলাম। আমাকে গৃহমধ্যে যাইতে অনুমতি করুন।” অতিথি মহাশয় শুনিবাৰ্মাত্র তৎক্ষণাৎ অনুমতি করিলেন। এলিজিবেথ গৃহমধ্যে প্রবেশিয়া গলবদ্ধ বস্ত্রে ও কৃতাঞ্জলিপুটে তাহার সম্মুখে জানু পাতিয় আপন জীবনবৃত্তান্ত তাদ্যোপান্ত বর্ণনা করিতে আরম্ভ করিলেন। তাছার বর্ণনা সকল প্রায় তাহাদিগের পিতা মাতা দুহিতাদিগের পরস্পর স্নেহ ভাবের কথাতেই পরিপূর্ণ। মধ্যে মধ্যে কএক বার যুবক স্মোলফের নামও উল্লেখ করিয়াছিলেন। কিন্তু সেই নামটী উচ্চারণ করিবার সময় এমনি বোধ হইতে লাগিল, যেন তাহাই তাহার নিষ্কলঙ্ক ভাবের অনুরূপ ও প্রতিমূৰ্ত্তি স্বরূপ। এবং ইহা স্পষ্টরূপে জানাইয়া দিল যে এলিজিবৈথের বিশুদ্ধ ভাব রক্ষা হুইবার প্রতি তাহার নিষ্কাম ভাবকে কোন মতেই প্রধান কারণ বলিতে পারা যায় না ।