পাতা:এলিজিবেথ.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলিজিবেথ । "> ఎ সময়ে এলিজিবেথ গাত্ৰোখান করিয়া আপনার বিদেশ যাত্রার উপযুক্ত বস্ত্রাদি দ্রব্য আহরণ করিতে নিযুক্ত হইলেন, ভ্রমণের যোগ্য পরিচ্ছদ পরিধান করিলেন এবং কএক প্রস্থ সেই দেশের ব্যবচাৰ্য্য বস্ত্রাদি সংগ্ৰহ করিয়া লইলেন । এই সকল দ্রব্য সামগ্ৰী তিনি পিতার ধনব্যয়ে সংগ্রহ করেন নাই। প্রায় এক বৎসর কাল প্রতিদিন রাত্ৰিযোগে সকলে শয়ন করিলে পর, মাতার অসাক্ষাতে আপনার শয়নগৃহে বসিয়া সেই সকল ব্যবহার্য্য বস্ত্র দি প্রস্তুত করিয়া, রাখিয়াছিলেন। তদ্ভিন্ন, সময়ে সময়ে নানা প্রকার সুখাদ্য ফল ও অাট। প্রভৃতি উদ্বর্ত হইলে তাহার সে সকল দ্রব্যও যত্ন পুৰ্ব্বক তুলিয়া রাখা অভ্যাস ছিল। কারণ তাহার মনের কথা এই যে, যদি কখন নিতান্ত অপ্রতুলের সময়-হয় এবং কীকারও আশ্রয় না লইলে না চলে, তখন সেই রক্ষিত বস্তুর সাহায্যে অবশ্যই কিছু ন কিছু উপকার দর্শিতে পরিবেক । এলিজিবেথ এখন সে গুলিও সেই সঙ্গে বাধিয়া লইলেন । পিতা মাতার ঘরে কিছু তাদৃশ প্রতুল ও সচ্ছল ভাব ছিল না, সুতরাং তিনি তথাহইতে কিছু মাত্র লইয়। যাইতে ইচ্ছুক হইলেন না। সৰ্ব্বশুদ্ধ নগদ দুই তিন টাকামাত্র সঙ্গে নীত ছইল। এবং ত{হাই অবলম্বন করিয়া সেই দুৰ্গম দূর দেশে যাত্রায় প্রস্তুত হইলেন। এলিজিবেথ অতিথি মহাশয়ের গৃহদ্বারে উপস্থিত হইয়া অস্তে আস্তে দ্বারে আঘাত পুৰ্ব্বক ডাকিয় কহিলেন, “ধৰ্ম্মপিতঃ ! গা তুলুন, এবং আসুন, আমরা জনক জননীর উঠিবার পুৰ্ব্বে এখানহইতে প্রস্থান করি । তাছাদিগকে জাগাইবার অবশ্যক নাই । জাগাইলেই কেবল অত্যন্ত রোট্রন করিবেন এই মাত্র। তাহারা জানেন ষে তাহাদিগের, গুহের ভিতর দিয়া না গেলে বাহির হইবার সম্ভাবন নাই, সুতরাং তাহারা নিশ্চিন্ত হইয়। নিদ্র। যাইতেছেন। কিন্তু