পাতা:এলিজিবেথ.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলিজিথে - , *暴4 শেই কালক্ষেপ করিয়া আসিতেছেন। অতএব রাজা ও রাজমন্ত্রিগণের নিকট এই মহাত্মা ব্যক্তির বিশেষ প্রতিপত্তি ও আলাপ পরিচয় থাকিতে পারে সন্দেহ নাই । এক্ষণে আমি ইহার শরণাপন্ন হইয়াছি, অামাকেও ইনি পূর্ণমনোরথা করিতে কদাচই বিমুখ হইবেন না। মনে মনে এই প্রকার চিন্তা করিয়া তিনি কেবল সেই ধৰ্ম্মপিতাকেই পরম সহায় বলিয়। স্থির করিলেন । এই রূপে এলিজিবেথ ও তৎসহচর সাধু মহাশয়, আশ্বিন মাসের প্রায় অৰ্দ্ধেক হইয়াছে এমত সময়ে কামা নদীর নিকট উপস্থিত হইলেন এবং গণনা করিয়া দেখিলেন যে প্রায় অৰ্দ্ধেক পথ আসা হইয়াছে। এলিজিবেথ যেমন সুচারুরূপে কাৰ্য্যে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন, তাহাতে যদি পরমেশ্বর শেষ পর্য্যন্ত সেই রূপে লইয়। যাইভেন, তবে তমহাকে প্রিয়তম জনক জননীর উদ্ধারে এত কায়িক ক্লেশ সহ করিতে হইত না। অনায়াসেই বিবেচনা কর। যাইতে পারিত যে তিনি অবলীলাক্রমেই পুর্ণমনোরথ হইতে পারিবেন। কিন্তু ভাগ্য প্রসন্ন না হইলে সে রূপ সুবিধা হইবার বিষয় কি? এ দিকে দেখিতে দেখিতে শীতকাল আসিয়া উপস্থিত হইল। এলিজিবেথ ক্রমশঃ বিপদসাগরে নিমগ্ন হইতে লাগিলেন । ভাব বুঝিবার জন্য তাহার উপরি ভূরি ভূরি আপৎপাত হইতে লাগিল। আপৎপাত হইতে লাগিল বটে, কিন্তু এই দুস্তর পরীক্ষাহইতে । উত্তীর্ণ হইতে পারিলে, তিনি যে অনন্ত পুরস্কারে পুরস্কৃত হইবেন ও তাহার অলৌকিক কীৰ্ত্তি যে ভুবনবিদিত হইবেক, তাহাতে আর কিছু মাত্র সংশয় রছিল না। তাহারা এস্থলে উপস্থিত হইবার পুৰ্ব্বে কতক দিন অবধিই সেই প্রাচীন ধৰ্ম্মপিতা মহাশয়ের শরীর অত্যন্ত অপটু হইয়াছিল। দিন দিন দুৰ্ব্বল হওয়ার্তে তিনি প্রায় ।