পাতা:এলিজিবেথ.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলিঞ্জিবেথ। ' & ఏ তাহার ভিতর এমনি শীতল যে দুই এক বার চক্ষু মুদ্রিত করাও নিতান্ত দুর্ঘট হইয়া উঠিল। এলিজিবেথ ঘোরতর বিপদ উপস্থিত দেখিয়া যৎপরোনাস্তি উদ্বিগ্ন ও চিন্তাসাগরে নিমগ্ন হইলেন, অনুসন্ধানদ্বারা জানিতে পারিলেন, যে সারাপুল গ্রামে চিকিৎসকের সহায়তা কোন ক্রমেই পাওয়া যাইতে পারে না। এবং অনুভবদ্বারা স্পষ্টই বুঝিতে পারলেন যে, যাহার ঘরে বাস করিয়াছেন সে রোগীর প্রতি ভ্ৰক্ষেপও করিতেছে না। ইহাতে তিনি রোগীর পক্ষে আপনার কৃতসাধ্যে যত দূর পর্যন্ত হইয়া উঠিতে পারে কেবল তাহা করিতেই চেষ্টা পাইতে লাগিলেন। অগ্রে ইতস্ততোহইতে কতকগুলি ছিন্ন বস্ত্র একত্র করিয়৷ সেই গৃহের গবাক্ষ প্রভৃতি ষে সকল স্থান অনাবৃত ছিল তাহ রুদ্ধ করিলেন। পরে তাছার মতি যে প্রকারে গাছ গাছড়। সংগ্ৰহ করিয়া, পরিবারদিগের পীড়া হইলে মুষ্টিযোগ করিয়া দিতেন, এলিজিবেথ সেই প্রকার করিতে মানস করিয়৷ মাঠে মাঠে গাছের অনুসন্ধান করিতে বাহির হইলেন। রাত্রি উপস্থিত হইলে ধৰ্ম্মপিতা মহাশয়ের পীড়ার উপদ্রব বিজাতীয় বৃদ্ধি হইত। এলিজিবেথ সেই ভাব দেখিয়া যৎপরোনাস্তি কাতর হইতেন এবং অনবরত গলিত নয়নজলধারাতে সৰ্ব্বাঙ্গ’ অভিষিক্ত করিতেন। মুমুমু অবস্থায় সেই পরম হিতৈষী সহায়কে বিরক্ত করিতে অনিচ্ছুক হইয়া, কিছু দূরে যাইয়া রোদন করিতে থাকিতেন, কিন্তু তাহ। সেই ধৰ্ম্মপিতা মহাশয়ের কর্ণগোচর হইত। তিনি তাহার মনের দুঃখ বিলক্ষণ বুঝিতে পারিতেন, কিন্তু তখন তাহার সে দুঃখ দূর করিবার কিছু মাত্র ক্ষমতা ছিল না! তিনি মনে মনে নিশ্চিত জানিতে পারিয়াছিলেন যে তা: ছাকে আৰু বিস্তর দিন এ পৃথিবীতে থাকিতে হইবেক না ।