পাতা:এলিজিবেথ.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলি জিবেথ। "రి পাত্র গ্রহণ করিলেন এবং তৎক্ষণাৎ উর্দ্ধদৃষ্টে পরমেশ্বরের নিকট এই প্রার্থনা করিতে লাগিলেন, “ হে অনাথনাথ ! করুণাময় ! জগদীশ ! আমি এক্ষণে এই বালাটীকে আপনার চরণের শরণাথিনী করিয়া চলিলাম, আপনি ইহার প্রতি কৃপা বিতরণ করিতে কোন মতেই বিমুখ হইবেন না। আপনার তো এমন কথা অাছে যে যদি কেহ অাপনাকে উদ্দেশ করিয়া এক ঘটী সুশীতল বারি উৎসর্গ করে, তাহা হইলে সে কখনই তাছার পুরস্কারে বঞ্চিত হইবে ন। হে শরণাগতবৎসল ! আপনি এই শরণাগত বালিকার প্রতি কৃপা কটাক্ষ পাত করিয়া নিজ নামটীকে চরিতাৰ্থ করুন ।” মহাত্মা ধৰ্ম্মপিতা মহাশয়ের মুখহইতে এই সমস্ত বাক্য শুনিয়া, এলিজিবেথ মনে মনে তাহার নিয়ত মৃত্যুর প্রতি আশঙ্কা করিতে লাগিলেন, কিন্তু তথাপি এমন প্রত্যয় করিতে পারিলেন না যে তাছার অবিলম্বেই প্রাণত্যাগ । হইবেক । তাহার কেবল এই মাত্র বোধ হইল যে ধৰ্ম্মপিতা মহাশয় তার অধিক দিন বাচিবেন না। তাহার অবসান হইলেই তাহাকে এককালে নিরুপায় ও অসহায়া হইতে হইবেক। খানিক ক্ষণ এই রূপ চিন্তা করিতে করিতে তিনি নিতান্ত অভিভূত ও বিচেতনার ন্যায় হইয়া সেই মহাত্মার শয্যারই এক পাশ্বে শয়ন করিয়া পড়িলেন, বোধ হইল যেন তিনিও সংসার যাতনার হাতহইতে নিস্তার পাইবার জন্য প্রস্তুত হইতেছেন। : এ দিকে ক্রমে ক্রমে তাহার হিমাঙ্গ হইয়। উঠিল। নয়নযুগল প্রভাঙ্গীন হইল, এবং নাড়ীও স্তম্ভিত হইল। মহাত্ম । মহাশয় ভূয়োভূয়ঃ কেবল “ হা পরমেশ্বর! কি করিলেন, এই অশরণা বালাকে কৃপাদৃষ্টে অবলোকন, করুন। অপনি দয়ার, সাগর হইয়া এই নিরুপায়ার উপরি দয়া