পাতা:এলিজিবেথ.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলিজিরেথ । * > *) or তোমাকে অনুকুল্য করিলে অধিরাজ তাছ। কখনই অগ্রাহ করিতে পরিবেন না। অামি কণ্ঠাগতপ্রাণ হইয়াও বারস্বার কহিতেছি তোমার মত সাধুশীল ও পিতৃমাতৃবৎসল৷ সরল। বাল। আমার জন্মাবচ্ছিন্নেও আর কুত্রাপি দৃষ্টিগোচর হয় নাই । তোমার এই সকল আচরণ দেখিলে শুনিলে তাবৎ জগৎকে মোহিত হইতে হয়। সুতরাং সাধ্যানুসারে ইহার সমুচিত পুরস্কার কে না দিয়া থাকিতে পারে। যে অলৌকিক ধৰ্ম্মবলে তোমাকে পরলোকে নিশ্চয়ই পুরস্কারের ভাজন হইতে হইবেক, ইহকালে যে তাছাহইতে তোমার মনোভীষ্ট সিদ্ধ হইবেক না ইহা অতি অসম্ভব কথা ।” হিতৈষী ধৰ্ম্মপিতা মহাশয় প্রান্ত হইয়া আর কিছু কথা কহিতে পারিলেন না । নিশ্বাস প্রশ্বাসে অত্যন্ত ক্লেশবোধ হইতে লাগিল। নয়নদ্বয় উত্তান হইবার উপক্রম হইয়। উঠিল । এলিজিবেথ সেই শয্যার এক পাশ্বে বসিয়। রোদন করিতে লাগিলেন । খানিক ক্ষণ বিলম্বে সেই মহাত্মা ক্রুশ নামক একটা দারুময় ধৰ্ম্মধ্বজ আপনার গলদেশ হইতে উন্মোচন করিয়া এলিজিবেথের হস্তে দিয়া অতি মৃদু স্বরে কহিলেন, “ বৎসে । এই বস্তুটি ধারণ কর। পৃথিবীতে ইছ। ব্যতীত অামার আর কোন সম্পত্তিই নাই যে তোমাকে দিয়া যাই, বিষয়, অাশয়, ধন, সম্পত্তি, সকলই আমার এই ক্রুশ। যাবৎ এই অমূল্য নিধি আমার হস্তগত হইয়াছে তাবৎ অামার আর কোন বিষয়েই অভিলাষ হয় নাই ।” এলিজিবেথ সেই ক্রুশখানি তৎক্ষণাৎ তাহার হস্তম্বইতে গ্রহণ করিলেন, এবং তাহাকে নিতান্ত মূমুঘু বুঝিতে পারিয়া তাহা আপনার শোকসন্তপ্ত হৃদয়ে রাখিয়া চাপিয়ু ধরিলেন। ধৰ্ম্মপিতা মহাশয় সদয়হৃদয়ে পুনৰ্ব্বার কহি, লেন, “বৎসে ! তুমি অনাথ ও অভিভাবকশূন্য হইতেছ N 2 -