পাতা:এলিজিবেথ.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলিস্ক্রিরেখ। به با ز এলিজিবেথ পূৰ্ব্বে শুনিয়াছিলেন যে ভয়ানক দমুদলের উপদ্রবে সেই নিকটস্থ স্থান সকল সৰ্ব্বদাই উত্ত্যক্ত ও অপহৃত হয়। এখন হঠাৎ সেই কথাটি তাছার স্মরণ হুইল এবং স্মরণ হইবাম ত্র তছার উদ্বোধ হইল ষে, বিশ্বপাতা পরমেশ্বর সতত আমার রক্ষণাবেক্ষণ করিতেছেন এ বিষয়ে অনুধাবন না করাতেই এই সমুচিত দণ্ড উপস্থিত হইয়াছে। মনে মনে এই রূপ ভাবের উদয় হওয়াতে তাহার সৰ্ব্বাঙ্গ থর থর করিয়া কপিতে লাগিল । তিনি তৎক্ষণাৎ পাতিতজানু হইয়া বদ্ধকরপুটে পরমেশ্বরের নিকট কৃপা প্রার্থনা করতে তৎপর হইলেন। এবং সেই সময়ে সেই দসু্যদল আসিয়াও উপস্থিত হইল। দসু্যগণ এলিজিবেথকে দেখিবামাত্র দণ্ডায়মান হইল এবং ৰিস্মিতভাবে জিজ্ঞাসা করিল, “ তুমি কে ? কোথাঙ্ক ইতে আসিতেছ? এবং একাকিনী এই স্থানে রহিয়াছ কেন ? ” ভয়বিহ্বল৷ এলিজিবেথ কপিতে কঁাপিতে উত্তর করিলেন, “আমি তবলস্কের ওদিকচইতে আসিতেছি। এত দূর আসিবার কারণ এই ষে, রুশিয়াধিনাথের নিকট অামার পিতার জন্য ক্ষম। প্রার্থনা করিতে হইবেক । সম্প্রতি পথহারা হইয়া এই মহাজলার মধ্যে অত্যন্ত ক্লেশ পাইতে হইয়াছে। রাত্রি যাপনের জন্য কোন আশ্রয় অন্বেষণ করিতেছিলাম, কিন্তু পথশ্রমে অত্যন্ত ক্লান্ত ও মৃতপ্রায় হইয়া পডিয়াছি, এখন কিঞ্চিৎ কাল বিশ্রাম না করিলে আর চলিতে পারি না।” দসু্যরা চমৎকৃত হইল এবং সন্দিথভাবে তাহাকে দৃঢ়রূপে সেই সকল কথা পুনৰ্ব্বার জিজ্ঞাসা করিল। তখন এলিজিবেথের মূখে পুনরায় সেই উত্তর শুনিয়া আর এক বার জিজ্ঞাসিল, “ভাল তুমি যে এত দূরদেশে যাত্রা করিয়াছ, তুমি পথের সম্বল কি আনি - য়াছিলে? এবং ভোমার নিকটেই বা এক্ষণে ৰুি আছে ??