পাতা:এলিজিবেথ.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলিজিবেথ । * * সৰ্ব্বদা আর্দ্র হইয়া রহিয়াছে। ফলে যে দেখিয়াছে, সেই মনে করিয়াছে যে, বিধাতা তাছাকে অতিশয় যত্ন করিয়াই সৃষ্টি করিয়াছেন। স্বামী যে যে বস্তু ভোজন করিলে ভূপ্ত ও প্রীত বুঝিতে পারিতেন, তিনি প্রতিনিয়ত অতি যত্নপুৰ্ব্বক সেই সমস্ত বস্তু প্রস্তুত করিয়া দিতেন, এবং সৰ্ব্বদা সতর্ক থাকিতেন যে তিনি কখন কি ইচ্ছা এবং কোন সময়ে কি আজ্ঞা করেন। সংসার ধৰ্ম্মের যে সমস্ত কাৰ্য্য কর। উচিত, অর্থাৎ শৃঙ্খলাপূর্বক দ্রব্যাদি সুসজ্জিত করা, গৃহসামগ্ৰী সমস্ত পরিস্কৃত করিয়া রাখা, আগামি দিবসের প্রয়োজনীয় দ্রব্যজাত অগ্রেই আহরণ করা এবং সামঞ্জস্য রূপে নিয়মিত ব্যয়াদি করা এই সমুদায়ই সেই গৃহিণীদ্বারা সুন্দর রূপে সমাহিত হইত। ' - তাছাদের যে কয়েক খানি কুর্টীর ছিল তন্মধ্যে প্রধান কুটীরে তাহার। দুই স্ত্রীপুরুষে শয়ন করিতেন। সতত উষ্ণ রাখিবার জন্য তথায় একটা অগ্নিকুণ্ড প্রজ্বলিত থাকিত। ঐ গৃহের কাষ্ঠময় ভিত্তিতে ফেডোর ও তাহার কন্য। নানা প্রকার চিত্রদ্বারা এমন শোভা বিস্তার করিয়াছিলেন যে সেদেশে তেমন শোভা অপর কুত্ৰাপি দেখিবার সম্ভাবনা ছিল না। চিত্রাদি প্রস্তুত করিবার জন্য যে সমস্ত দ্রব্য সামগ্রীর আবশ্যক তাহ। স্প্ৰিঙ্গরের মৃগয়ার লাভেই অাহরণ করা হইত। ইহা ব্যতীত আর দুখানি ছোট ঘর ছিল। এক খানিতে এলিজিবেথ নিজে থাকিতেন। অন্য খানিতে এক জন তাহার দেশীয় চাকর থাকিত। এই চাকরের ঘরে পাকাদির বাসন ও চাসবাসের দ্রব্য সামগ্ৰী সমুদায় রক্ষিত হইত। - , সপ্তাহের প্রতিদিন তাহার এই রূপ সংসার ধৰ্ম্মের কাজ কৰ্ম্ম করিয়া কাল যাপন করিতেন। ফেডোর সাংসারিক নানা কাঞ্চুৰ্য ব্যস্ত থাকিয়। প্রতিদিন পরমেশ্বরের উপাসন৷