পাতা:এলিজিবেথ.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলিজিবেন্ধ। *१३ আনন্দের ব্যাপার সকল হইতে আরম্ভ হইল। এ দিকে গোলন্দাজের বজের ধ্বনির ন্যায় অনবরত তোপধ্বনি করিতেছে। ভেরী, তুরী, দমামা প্রভৃতি নানা প্রকার বাদ্যোদ্যম হইতেছে। প্রজালোকের জয়ধ্বনি করিতেছে। প্রধান ও অপ্রধান ভজনালয়ে অবিরত ঘন্টাধ্বনি হইতেছে। এই রূপে মহারাজাধিরাজ আলিকজগুরের অতিষেকোৎসবের শুভ দিন প্রকাশ হওয়াতে, এলিজিবেথ আপনার আতিথেয়ীর নিকটহইতে এক প্রস্থ পরিচ্ছদ ধার চাহিয়া লইলেন এবং সেই দয়াবান আতিথেয় মহোদয়ের বাহু অবলম্বন করিয়া যাত্রীদিগের সহিত, যে প্রধান ভজনালয়ে সেই মহামহোৎসব হইবেক, তথায় গমন করিলেন । - এলিজিবেথ গমন করিয়া দেখিলেন যে, সেই পবিত্র ভজনালয় ইহুমূল্য মণি মুক্ত প্রবালাদিতে এমত বিরাজমান রহিয়াছে, বোধ হয় যেন সহস্ৰ সহস্র দীপমালাতে প্রদীপ্ত হইয়। যাহার পর নাই শোভা বিস্তার করিতেছে। তাহার মধ্যস্থলে এক অপুৰ্ব্ব বহুমুল্য রত্নসিংহাসন । তাহার উপরিভাগে অতি আশ্চৰ্য্য নানাজাতীয় মণিগণখচিত ও মুক্তাদামসুশোভিত মখমলের চন্দ্ৰাতপ খাটান। সেই রত্ন সিংহাসনের উপর অধিরাজ স্বয়ং বিরাজ করিতেছেন, এবং চতুদিকে অতি আশ্চৰ্য্য পরিচ্ছদে পরিচ্ছন্ন পাত্র মিত্র অমাত্য প্রভৃতি পারিষদ্বর্গে পরিবেষ্টিত হইয়া, ইন্দ্রের সভার শোভ বিস্তার করিতেছেন। ফলতঃ তাঁহাদের তদ্রুপ অসামান্য রূপলাবণ্য, এবং সে প্রকার দেদীপ্যমান অলঙ্কার ও অপুৰ্ব্ব পরিচ্ছদ দেখিলে কে না বলিবে যে তাহাদের আকার • প্রকার স্বৰ্গীয় লোকের মত নয়। এই প্রকার অপূৰ্ব্ব সভার, মধ্যস্থলে মহারাণী নিজ নাথ সেই বিরাজমান রুশিয়াধিনথের সম্মুখে কৃতাঞ্জলিপুটে অবনত হইলে পর, অধিরাজ