পাতা:এলিজিবেথ.pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

४४-8 এলিজিবেথা । হাত ধরিয়। আপনি তাহার পদতলে পতিত হইয়। উচ্চৈঃস্বরে কহিলেন, “ মহারাজাধিরাজ ! কৃপা করিয়া ধাৰ্ম্মিক ব্যক্তির প্রমুখাং ক্লেশভোগের আবেদন শুনিতে আজ্ঞ, হউক। দুর্ভাগ্যবান ষ্ট'নিস্লাশ পোটোস্কির কন্যার দুৰ্গতি স্বচক্ষেই অবলোকন করুন। বার বৎসর হইল ইহার পিত। মাত ইসিমের জঙ্গলে বিবাদিত হইয়াছেন। ইনি এখন সেখান হইতে অাসিতেছেন। সঙ্গে দ্বিতীয় ব্যক্তি নাই, সহায় নাই, সম্বল নাই, সমস্ত পথ কেবল ভিক্ষার উপরি নির্ভর কৱিয় এখন পর্য্যন্ত আসিয়াছেন। পিত। মাতার ক্লেশ দেখিতে না পারিয়া কেবল ভিক্ষামাত্র অবলম্বন করিয়া দিনপাত করিয়াছেন, দুঃসহ অপমান সহ্য করিয়াছেন। অতিশয় প্রবল ঝড় বৃষ্টিতেও কিছুমাত্র ক্ৰক্ষেপ করেন নাই। সম্প্রতি সেই পিতার উপরি ক্ষম। প্রার্থনা করিয়৷ আপনার চরণের শরণ লইতেছেন। কৃপা করিয়৷ এই সাধুশীলা অবলার মনোবাঞ্ছা পরিপূর্ণ করিতে অজ্ঞা হউক।” এলিজিবেথ অঞ্চলিবদ্ধ করিয়৷ উৰ্দ্ধদৃষ্টে এই কথা কছিলেন, ‘ ভামি আমার পিতার প্রতি ক্ষম। প্রার্থনা করিতেছি, কৃপা করিয়া ক্ষমা করিতে অজ্ঞ কাউক ৷” এই কথা শুনিয়া সভাস্থ সমস্ত ব্যক্তিই প্রশংসা করিতে আরম্ভ করিলেন। অধিরাজ ও সেই সঙ্গে সঙ্গে যোগ দিতে লাগিলেন। ষ্টানিস্লাশ পোটোস্কির বিরুদ্ধে তাহার অন্তঃকরণে ষে সকল কুসংস্কার ছিল, ক্ষণকালের মধ্যে সে সমুদায়ই বিলুপ্ত হইল। তখন তাহার এমনি বোধ হইল, ষে সমস্ত । দোষ দেখাইয়। দোষী করা গিয়াছে, বাস্তবিক এমন কন্যার পিতা কখন তেমন দোষে দোষী হইবার উপযুক্ত পত্র হইতে পারেন না। তবে এমন হইতে পারে বিপক্ষের, একবাক্যে চক্রান্ত করিয়। তাছার প্রতি সেই দোষ আr রোপ করিয়া থাকিবেক। এই রূপ ভাবিয়া মহত্বমহিম আ:- ,