পাতা:এলিজিবেথ.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলিজিবেথ। । 今レg লিকজাণ্ডর তাহাকে ক্ষম না করিয়া থাকিতে পারিলেন না। অনন্তর তিনি কহিলেন, “ তোমার ক্ষম প্রার্থনা গ্রাহ হইল, তোমার পিতা মুক্ত হইলেন।” এলিজােবথ ক্ষমা এই কথাটা শুনিৰামাত্রই আনন্দে অভিভূত হইয়া স্মোলফের বাহুতে পতিত হইলেন। মহাত্মা রোজী মহাশয় তাহাকে সেই অচৈতন্যাবস্থাতেই আলয়ে লইয়া চলিলেন। এত যে জনতা, তথাপি তাহার মধ্য দিয়া পথ পাইবার আর কিছুই ব্যাঘাত হইল না। সকল লোকেই সেই বালার অসামান্য বীরতার প্রশংসা করিতে এবং অধিরাজকে ভয়োভূয়ঃ ধন্যবাদ দিতে লগিলেন। পরে এলিজিবেথ চেতনা হইবামাত্রেই প্রথমে দেখিতে পাইলেন, যে স্মোলফ তাহার পাশ্বে বসিয়া, অধিরাজের মুখহইতে যে সমস্ত কথা নির্গত হইয়াছিল তাছাই পুনঃ পুনঃ শুমাইতেছেন, “ এলিজিবেথ ! ক্ষম হইয়াছে, তোমার পিতা মুক্ত হইয়াছেন।” এই রূপ সুখজনক শুভ সংবাদ শুনিয় এলিজিবেথের ইন্দ্রিয় সকল জড়ের মত অস্পন্দ ও ক্রিয়াশূন্য হইয়া উঠিল। অনেক ক্ষণ পর্যন্ত মুখ দিয়া একটা কথাও নির্গত হইল না । কেবল আকৃতিতেই আনন্দ ও কৃতজ্ঞত। ব্যক্ত করিতে লাগিলেন। ফলতঃ বাক্য অপেক্ষাও তাহাতে তাহার ভাব অধিক ব্যক্ত হইয়াছিল । তাহাতে কিছুমাত্র সন্দেহ নাই । . ক্ষণকাল বিলম্বে তিনি পাশ্বস্থিত স্মোলফের দিকে ফি • রয়া করুণ স্বরে পিতা ও মাতাকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, “আমরা কি তোমাদিগকে পুনৰ্ব্বার দেখিতে পাইব?” পূনৰ্ব্বার আরো কিছু যোগ করিয়া কহিলেন, “আমর আর কি তোমাদিগকে পুনৰ্ব্বার দেখিতে ও তোমাদিগকে সুখভোগ করাইতে পারির ” এই কথা গুলি শুনিবামাত্রেই যুবক ম্মেলফের হৃদয়মধ্যে প্রবিষ্ট হইল এলিজিবেথ