পাতা:এলিজিবেথ.pdf/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলিজিবেথ । ఢి ఫె ( কহিলেন, “ বৎসে । তার অার ভাবনা কি ? প্রণয় কর, তাহা হইলেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ হইবে । যেমন আমি তোমার পিতার প্রণয়িনী, তুমিও স্মোলফ মহাশয়ের তেমনি প্রণয়িনী হইয়। এ ঋণহইতে যুক্তি পাইবার চেষ্টা পাও।” ষ্টানিস্লাশ ফেডোরার মতে সম্মতি প্রকাশ করিলেন । সরল বালা এলিজিবেথ লজ্জিত ভাবে স্মোলফের হস্তখানি ধারণ করিয়া হাতে হাতে পিতা মাতাকে সমপণ করিয়৷ অতি বিনীত ভাবে কহিলেন, “ আপনি আমার পিতা মাতাকে কখন পরিত্যাগ করিবেন না। প্রতিজ্ঞ করিয়া বলুন, আপনি ইচ্ছাদিগকে কখন পরিত্যাগ করিবেন না।” স্মোলফ কহিয়৷ উঠিলেন, “ হে পরমেশ্বর ! আমি স্বকৰ্ণে শুনিলাম এবং মনে মনে বুঝিতে পারিলাম, ইহঁরা আপন কন্যা আমাকে দান করিলেন, এবং ইহাদের কম্য ও স্বয়ং সন্মতি প্রকাশ করিলেন ।” এই কথার পরে তিনি আর কিছু কহিতে পারলেন না। কিন্তু অবনতমুখে আনন্দাশ্রদ্ধার এলিজিবেথের বক্ষঃস্থল অভি• ষিক্ত করিতে লাগিলেন । সেই সময়ে এলিজিবেথের এমনি বোধ হইতে লাগিল, যে স্বগেতেও এত দূর পর্য্যন্ত সুখী হইবার সম্ভাবনা নাই। আনন্দসাগরে এমনি মগ্ন হইয়াছিলেন, যে তাহার কিছুমাত্র বাহদ্ভান ছিল না। এলিজিবেথের মাতা, আহাদে তাঁহাকে পুনৰ্ব্বার আলিঙ্গন করিলেন, কিন্তু তিনি তাক জানিতে ও পারিলেন না। ’ এবং পিতাও কন্যার অসাধারণ চেষ্টায় স্বাধীনতা লাভ করিয়া এবং কন্যাকে কৃতকাৰ্য্য ও এত দূর পর্যন্ত সুখদায়িনী বিবেচনা করিয়া যে কি পৰ্য্যস্ত অনিন্দিত হইয়াছিলেন, তিনি তাহাও অনুধাবন করিতে সমর্থ হইলেন না। । অনন্তর সেই জনক ও জননী কন্যার নিকট তাহার দীর্ঘকাল বিরহে যে কষ্টে ও যে প্রকার দুঃখে দিন পাত