পাতা:এলিজিবেথ.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* 8 এলিজিবেথ । হুইল, তখন তিনি, কি জন্যই বা পিত। এত শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন, কেনই বা মাতা যখন তখন ব্যাকুল হইয়। রোদন করেন, তাহার কারণ জানিতে ইচ্ছুক হইলেন। সৰ্ব্বদা তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করিতেন কিন্তু তাহারী কিছুমাত্র উত্তর দিতেন না। কেবল এক দীর্ঘ নিশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া কহিতেন আহা ! আমরা কোন দেশে ছিলাম কোথায় আসিয়া পড়িয়া রহিয়াছি, এই মাত্র, আর সেই সঙ্গে সঙ্গে নয়ন জলধারাতে সৰ্ব্বাঙ্গ অভিষিক্ত করিতেন । কিন্তু সেই দেশের নাম কি এবং সেখানে তাহার কে ছিলেন, এ কথা তাহারা প্রাণান্তেও মুখ দিয়া বাহির করিতেন না। কারণ তাছারা মনে মনে এই আশঙ্কা করিতেন, যদি এই দুঃসহ দুৰ্গতির কথা কন্যাকে জানান যায়, তাহ হইলে, কি জানি, তাহার অপরিপক্ক মনে সাতিশয় যাতনা বোধ হইয়া, একটা মহা অনিষ্ট ঘটিলেও ঘটিতে পারিবেক । যাহা হউক এই রূপ জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধান করিতে করিতে এলিজিবেথ ক্রমে ক্রমে পিতা মাতার ক্লেশ ও মনোদুঃখ বুঝিতে পারিলেন। বুঝিয়া অবধি, তাছার অন্তঃকরণহইতে আমোদ প্রমোদ করিবার ইচ্ছা সকল এককালে লুপ্ত হইয়। পড়িল। যে সমস্ত প্রাকৃত শোভা তাহার মন মোহিত করিত, এখন সেই সকল শোভার আর সে মোহিনী শক্তি রছিল না। প্রতিদিন চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধান করা রহিত হইয়া পড়িল । ফল ও ফুলের প্রতি যত্ন করা আর কিছুমাত্র মনে রছিল না। পূৰ্ব্বে পক্ষীদিগকে যে এত ভাল বাসিতেন তাহা এককালেই স্থগিত হইল। হ্রদের ধারে বেড়াইতে গেলেই তাহার ডিঙ্গীতে চড়িতে বড়ই সাধ হইত, কত বার আমোদ করিয়া তাহাতে চড়িতেন এবং খানিক দূরে চালাইতেন। এখন আর সে ভাবে সে দিকে যাইতেন না। যখন যাইতেন, তখন, তাহার মন যে