পাতা:এলিজিবেথ.pdf/২৫

>レ এলিঞ্জিবেথ। । ইহার পরিত্রাণ করা না হয় তাহ হইলে এই উপলক্ষে র্তাহার কোন আকস্মিক দুর্ঘটনা ঘটিতে পারে। এই বিযয় অনুক্ষণ স্মরণ করিতে করিতে এলিজিবেথের অন্তঃকরণে এমনি দৃঢ় প্রত্যয় হইল যে, “ পরমেশ্বর দেখিতে পান না এবং শাসন করেন না পৃথিবীর মধ্যে এমন কোন স্থানই নাই। হতভাগার যে কোন স্থান হইতে হউক না কেন তাহাকে ডাকিলে ও প্রার্থনা করিলেই তিনি তাহাতে কর্ণপাত করেন ও অবিলম্বে তাহার একটা সদুপায় করিয়া দেন তাহাতে আর কিছুমাত্র সন্দেহ নাই।” কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে শীতকালের শিকারের সময়ে স্থিজর তবল নদীর ধারে পাহাড়ের উপরে এক ঘোর বিপদে পড়িয়াছিলেন। তবলস্কের শাসনকৰ্ত্তার এক যুবা পুত্ৰ স্মোলফ তাহাকে সাতিশয় সাহস সহকারে সেই বিপদহইতে উদ্ধার করিয়াছিলেন। সেই যুবক শীতকাল হইলে প্রতি বৎসর ইশিমের প্রান্তর দেখিতে যাইতেন এবং সেইম্‌কার নিকটে মনোমত পশু সকল শিকার করিয়া বেড়াইতেন। একদা ভালুক শিকার করিবার সময় স্পৃিক্ষরের বড়ই ভয়ানক বিপদ উপস্থিত হইয়াছিল। দৈবযোগে সেই দিনই স্মোলফের সহিত তাহার সাক্ষাৎ হয়। তাহাতেই স্পৃিঙ্গর সেই বিপদহইতে পরিত্রাণ পান। তদবধি তিনি সপরিবারে সেই প্রাণদাতা ম্মোলফের নাম উচ্চারণ না করিয়া ও সম্মানপুৰ্ব্বক কৃতজ্ঞতার সহিত তাহাকে ধন্যবাদ না দিয়া জলগ্রহণ করিতেন না। এই বিষয় মনে পড়িলে এলিজিবেথ ও তাহার মাত৷ মনে মনে বিস্তর ক্ষোভ করিতেন এবং সৰ্ব্বদাই কহিতেন। যে, “ এমন উপকারককে আমরা এক বার স্বচক্ষে দেখিতে ও তাছার সমক্ষে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করিতে পারিলাম না। জলমাদের এ নিতান্ত বিড়ম্বন।” করিবেন কি ; দেখা করি