পাতা:এলিজিবেথ.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&冬、、 এলিজিবেথ। । ঘিণে বাহির না হইয়। আর থাকিতে পারিলেন না। এলিজিবেথের সঙ্গিনী হইয়া পতির উদেশে বাহির হইতেই সম্মত ও উদ্যত হইলেন। অনন্তর এলিজিবেথ ও তাহার মাতা উভয়ে বনের ভিতর দিয়া ক্রমে ক্রমে প্রান্তরের দিকে যাইতে লাগিলেন । পথিমধ্যে সন্ধ্যকাল উপস্থিত। ক্রমে ক্রমে গগনমণ্ডল ছিম ও শিশিরে আচ্ছন্ন হইতে লাগিল। দেবদারু বৃক্ষ সকল বরফময় বোধ হইতে লাগিল। হিমকণাজালে বৃক্ষের শাখা সকল সুশোভিত হইল। বনভূমি এককালে ঘুিমানীময় হওয়াতে, অন্ধকারে দিক সকল নির্ণয় করা দুর্ঘট হইতে লাগিল। এদিকে ভূমিতল বরফে এমনি পিচ্ছল হইল যে ফেডোর তাছার উপর আর পা রাখিতে পারিতেছেন ন। এলিজিবেথ সে দেশে বাল্যাবধি প্রতিপালিত ও বদ্ধিত হইয়াছিলেন, একারণ তিনি আর সে শীতে তত-কাতর হইলেন না, অবলীলাক্রমেই মাতাকে হাত ধরিয়া লইয়া যাইতে লাগিলেন। ফলে ইহ। বড় বিচিত্র নছে। এক দেশের বৃক্ষ যদি দেশীস্তরে লইয়া গিয়া রোপণ করা যায়, তাহ৷ হইলে সে বৃক্ষের আর তত উন্নতি ও সতেজ ভাব থাকে না। কিন্তু সেই দেশের জল বায়ুর গুণে তাহার মুলহইতে যে সকল স্থতন ভূতন শাখা বাহির হয় তাহা যেমন-সতেজ তেমনি উন্নত হইয়া থাকে, সংবৎসরের মধ্যে তাহ শাখ পল্লবে সুশোভিত হয়, এবং যাহার মুল হইতে সে সকল বাহির হয়, শেষে তাহাকেও নিস্তেজ করিয়া রাখে । ফেডোর যখন মাঠের ধারে উপস্থিত হইলেন, তখন তিনি আর এক পাও চলিতে সমর্থ হইলেন না। এলিজিবেথ তাহ দেখিয়া কহিলেন, “ মা তুমিত আর চলিতে পারিতেছ না, অতএব তুমি এখানেই থাক, আমি একা