পাতা:এলিজিবেথ.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९ 8 এলিজিযেৰ্থ । ইহ দেখিয় এলিজিবেথ মহা আনন্দে তাহাকে পিতৃ সম্বোধনে উচ্চ স্বরে ডাকিতে লাগিলেন, এবং নিকটে গিয়া দেখিলেন যে পিতা নয়; এক জন যুব পুরুষ, আকার প্রকার অতিশয় ভদ্রের ন্যায়। . ঐ পুরুষ সহসা এলিজিবেথের অলোকসামান্য রূপ লাবণ্য দেখিয়া এককালে বিম্মিতের ম্যায় দণ্ডায়মান রছিলেন । এলিজিবেথ তাহাকে দেখিয়া অতি দুঃখিত ভাবে কহিলেন, “ হায়! বাবা এখানে আছেন মনে করিয়া ডাকিয়া জিজ্ঞাসিলাম, কিন্তু ভাগ্যক্রমে তিনি হইলেন না।” পরে তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “হ গে। মহাশয় ! আপনি কি আমার বাবাকে এই মাঠে আসিতে দেখিয়াছেন ? কিম্বা বলিতে পারেন, আমি কোন পথে গেলে তাহাকে দেখিতে পাই?” এলিজিবেথের এই কথায় তিনি উত্তর করিলেন, **অামিত তোমার পিতাকে চিনি না। যাহা হউক তোমার এ কি সাহস ! এই অসময়ে তোমার একাকিনী এখানে থাকা কদাচ কর্তব্য নহে। যে সকল আপদ ঘটিবার সম্ভাবন আছে, তাহাতে তোমার ভয় করা উচিত।” ঐ ব্যক্তি এই কথা বলিতে না বলিতেই এলিজিবেথ কহিয়া উঠিলেন, “আমারত কাহাকেও কিছুমাত্র ভয় নাই, তবে একমাত্র ভয় এই আছে, পাছে আমার পিতাকে কোথাও দেখিতে না পাই ৷’’ এই কথা বলিতে বলিতে এলিজিবেথ এক বার উৰ্দ্ধদৃষ্টি হইয়া পরমেশ্বরের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলেন। তাহার সেই প্রকার ভঙ্গী দেখিয়। ঐ ব্যক্তির বোধ হইল, তাহার যেমন কোমল ভাব, তেমনি সাহস ! যেমন দয়, তেমনি উৎসাহ ! যেমন লাবণ্য, তেমনি সৌন্দর্য্য ! সকলই সমান। ফলে ভবিষ্যতে তিনি যে এক জন বিশিষ্ট ভাগ্যবতী হইবেন, তাহ। তাহার আকার প্রকারেই স্পষ্ট প্রকাশ পাইতে লাগিল।