পাতা:এলিজিবেথ.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

is 3 এলিজিবোধ । t প্রতিপ্রণয় প্রকাশে তিনি যে পৰ্য্যন্ত অনুগৃহীত ও তাহার বশীভূত হইলেন, তাহ ব্যক্ত করিয়া বলিতে যান এমত সময়ে এলিজিবেথ কহিয়া উঠিলেন, “ স্মোলফ মহাশয় ! একটি নিবেদন করি শ্রবণ করুন। আমি পিতাকে উদ্ধার করিবার জন্য একান্ত মানস করিয়াছি, আপনাকে তাহার কিছু সহায়তা করিতে হইবেক । নিশ্চয় করিয়াছি, আপ: নার সাহায্য ভিন্ন আমি তাহাতে কোন মতেই কৃতকাৰ্য্য স্ক ইতে পারিব না। এক্ষণে আপনি তাহাতে সহায় হইবেন এ কথা আমার নিকট স্বীকার করিয়া বলুন।” - এলিজিবেথের মুখে এই কএকটী কথা শুনিবামাত্র স্মোলফ অতিমাত্র চমৎকৃত হইলেন এবং সুখের বিষয়ে তাহার যে সকল কপেন হইতেছিল, সে সমস্তই এককালে বিশৃজ্বল ও উৎসন্ন হইয়া পড়িল । মনের মধ্যে এমনি ক্ষোভ ও বিষাদ উপস্থিত হইল, সমস্তই আপনার ভ্রম বলিয়। বোধ করিলেন । ভ্ৰম বোধ করিলেন বটে, কিন্তু এলিজিবেথের প্রতি স্নেহের কিছুমাত্র হ্রাস হইল না। অনন্তর তিনি পাতিতজানু হইয়। বদ্ধকরপুটে এলিজিবেথের সম্মুখে অবাক হইয়া রছিলেন। এলিজিবেথ মনে করিলেন যে তিনি পরমেশ্বরের নিকটেই প্রার্থনা করিতেছেন। কিন্তু ফলতঃ তাত নহে। তাছার সম্মুখেই যথার্থ। এ প্রকার ভাবে তাহার সম্মান রাখিয়া শপথ পুৰ্ব্বক ইছ1 জানান হইল, যে তাহার যাহা যাহা আবশ্যক, তিনি তাহ। অম্লানবদনে সমাহিত করিতে কিছুমাত্র যত্নের জুটি করিবেন না । এলিজিবেথ উত্তর করিলেন,“ মহাশয়! যে অবধি আমার জ্ঞানের উদয় হইয়াছে, তদবধি আমার অন্তঃকরণে পিতা মাতার চিস্ত ব্যতীত আর অন্য চিন্তা নাই। ফলে, যখন তাহদ্ধের অকপট স্নেহই আমার সকল সুখের মুলাধার হইয়াছে, তখন তাহাদিগের শান্তি ও সুখ স্বছন্দ বিধান