পাতা:এলিজিবেথ.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলিজিবেথ । も。 জিজ্ঞাসা করি, তুমি যে একাকিনী এই কিঞ্চিদূর্ন দুই হাজার ক্রোশ দুর্গম পথ পদব্রজে যাইতে চাহিতেছ, ইহাই বা কিরূপে সম্ভব বোধ করা যাইতে পারে?” এলিজিবেথ শুনিবামাত্র তদ্‌গতচিত্তে ঈশ্বরকে লক্ষ্য করিয়া কহিতে লাগিলেন, “ মহাশয় ! যে করুণাকর পরমেশ্বর আমার পিতার প্রাণরক্ষার্থে আপনাকে প্রেরণ করিয়াছিলেন, সেই পিতার উদ্ধারার্থ তিনিই আমাকে প্রবৰ্ত্তিত করিতেছেন । নিশ্চয় বোধ হইতেছে তিনি আমাকে কোন রূপেই পরিত্যাগ করিবেন না ।” - এলিজিবেথের এই রূপ স্থির নিশ্চয় জানিতে পারিয়া স্মোলফ সাতিশয় উদ্বিগ্ন ও মনঃক্ষুন্ন হইলেন এবং খানিক ক্ষণ স্তব্ধ থাকিয়া উত্তর করিলেন, “ যাহা হউক, যাবৎ গ্রীষ্মকালের সমাগম ও দিন বৃদ্ধি না হয়, তাবৎ তোমার এ বিষয়ের চচ্চা করায় কোন ফল নাই । এখন শীতকাল, তথায় যাত্রা করিবার কোন সম্ভাবনাই নাই। গাড়ীতে গতিবিধি করা পর্য্যন্তও স্থগিত হইয়াছে। এখন যাইত্তে হইলে এই সাইবিরিয়ার জলাতেই তোমাকে প্রাণ হারাইতে হইবেক সন্দেহ নাই । যাহা হউক বারাস্তরে সাক্ষাৎ হইলে ইহার সদুত্তর প্রদান করিব। এক্ষণে তোমার প্রস্তাৰ শুনিয়া আমি যেন হতবুদ্ধির ন্যায় হইয়াছি । বিবেচনা না করিয়া আশু কোন সদুত্তর দিতে সক্ষম হইতেছি না । এ সমস্ত দুরূহ বিষয়ে কিঞ্চিৎ কাল ভালরূপে বিবেচনা ব্যতিরেকে কোন মতামত প্রকাশ কর। কৰ্ত্তব্য নয়। আমি অগ্রে তবলস্কে ফিরিয়া যাইয়। পিতার নিকট এসব কথা উত্থাপন করি এবং তিনি যে পরামর্শ দেন তাহ শুনি, পরে যাহা কৰ্ত্তব্য হয় করা যাইবেক। আমার পিতার সমান ভদ্র ব্যক্তি প্রায় সচরাচর দেখিতে পাওয়া ভার। একটা স্থূল কথা বলি শুন । যদি আমার পিত। এ স্থানের শাসনাধিপতি না