পাতা:এলিজিবেথ.pdf/৮১

* 8 এলিঞ্জিবেথ । হস্তগত হইতেছিল হঠাৎ তাহার হস্তের বহির্ভূত হইল । অসঙ্খ্য অসঙ্খ্য শঙ্কা সকল উৎপন্ন হইতে লাগিল, তিনিও তদনুসারে ব্যাকুল লইতে লাগিলেন। ম্মেলফ প্রতিজ্ঞ প্রতিপালন না করিয়া যখন চলিয়। গিয়াছেন তখন তবলস্কে যাইয়া তাহাকে স্মরণ করিবেন ইহাই বা তিনি কি রূপে আশা করিতে পারেন । আর যদিও তাহার স্মরণ থাকে তথাপি কার্য সিদ্ধ করিয়া তুলিতে পারবেন, ইহাই ব। তাছার মনে কি প্রকারে বিশ্বাস হয় ? এই রূপ দুর্ভাবনায় পড়িয়া এলিজিবেথের যেরূপ কষ্টে দিব। রাত্রি যাপিত হইতে লাগিল তাহ ব্যক্ত করা সহজ ব্যাপার নহে । মনোমত দ্বিতীয় ব্যক্তি ছিল না যে তাহার নিকটে দুঃখের কথা ব্যক্ত করিয়া বলেন এবং কোন বিষয়ের পরামর্শ করেন, সুতরাং আপনার দুঃখভার আপনিই বহন করিতে এবং বহি য়। আপনিই ক্লান্ত ও কাতর হইতে লাগিলেন । কিন্তু তাদৃশ শোকাবেগ পিতা মাতার নিকট গোপন করিতেও যথাসাধ্য জুটি করেন নাই । এই রূপে তিনি অধিক ক্ষণ শোক সম্বরণে অসমর্থ হইয়া নিয়মিত সময়ের পূৰ্ব্বেই পিতা মাতার নিকট হইতে উঠিয়া-আপনার শয়নগৃহে প্রবেশ করিলেন এবং প্রবেশিয়া রোদন করিতে লাগিলেন । - এলিজিবেথ তথাহইতে উঠিয়া যাইবামাত্র তাছার মাতা ফেডোরা পতিকে সম্বোধন করিয়া কম্ভিতে লাগিলেন, “ হে দেখ! আমার অন্তঃকরণে একট। ভারি দুর্ভাবনা উপস্থিত হইয়াছে, এক্ষণে তোমাকে ন৷ বলিয়া আর থাকিতে পারি না । আমার এলিজিবেথের ভাবের কত ব্যত্যয় হইয়া উঠিয়াছে তুমি কি কিছু লক্ষ্য করিতে পার নাই ? সে যত ক্ষণ অামাদের সঙ্গে একত্রে ছিল, তত ক্ষণ তাহাকে মহাভাবিত ও যৎপরোনাস্তি বিমর্ষ বোধ হইয়াছে । আমি বিলক্ষণ