পাতা:এলিজিবেথ.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলিজিাবেথ । q аг লক্ষ্য করিয়৷ দেখিয়াছি, স্মোলফের নাম শুনি বামাত্র তাছার মুখমণ্ডলে প্রফুল্লতার সহিত লজ্জার আবির্ভাব হয়, অণর তাহার অদর্শনে তাহার ক্লেশের সীমা থাকে না । আজি সে ভজনালয়ে যাইয়া বড়ই অন্যমনস্ক হইয়াছিল। স্মোলফের সহিত সাক্ষাৎ করিবার মানসে সতৃষ্ণ নয়নে চতুৰ্দ্দিক নিরীক্ষণ করিতে লাগিল । কিন্তু তাহাকে তথায় দেখিতে পাইল না। অনন্তর মহাব্যাকুল হইয়। স্মোলফ সেইমূকায় আছেন কি না। এ কথা এক জন বৃদ্ধাকে জিজ্ঞাসা করিল। এবং বৃদ্ধার মুখহইতে, “তিনি আজি দুই দিন হইল তবলস্কে গিয়াছেন, ” এই উত্তর শ্রবণ করিয়া সাতিশয় মিয়মাণ ও বিমর্ষ হইয়া পড়িল । আহা! নাথ ! আমার বিলক্ষণ স্মরণ হইতেছে, আমাদের শুভ বিবাহের পুৰ্ব্বে অামারও এই প্রকার ভাবের উদয় হইয়াছিল । কেহ আমার সমুখে তোমার নাম করিলে আমার লজ্জা বোধ হইত, তোমাকে দর্শন করিবার অভিলাষে ইতস্ততঃ দৃষ্টি নিক্ষেপ করিতাম এবং না দেখিতে পাইলে কেবল অনবরত রোদন করিতে থাকিতাম ! হায়! হায় ! কি হতভাগ্য ! এই মুকল প্রণয়ের লক্ষণ অামার কন্যার হৃদয়ে উদ্ভূত হইয়। সফল হইবেক, ইহা কস্মিন কালেও দেখিতে পাইবার সম্ভাবন নাই, তাহাকে যাবজ্জীবন অসহ্য ক্লেশে কালযাপন করিতে হুইবেক । ফলে বোধ হইতেছে আমার মত সুখভাগিনী ও সৌভাগ্যবর্তী হওয়া তাহার ভাগ্যে নাই।” স্পৃিঙ্গর এই সকল কথা শুমিবামাত্র দুঃখিত ভাবে কছিলেন, “ এই নিৰ্ব্বাসনাবস্থায় বনবাসিনী হইয়া তুমি ত বড়ই সুখ স্বচ্ছন্দে কালযাপন করিতেছ। বনবাসে অাবার সুখ সৌভাগ্যের বিষয় কি ?” ফেডোরা “ যে নারী প্রাণ সমান। প্রণয়ীর সহবাসে কাল যাপন করিতে স্থারে, তাহার বন ও নিৰ্ব্বাসন বলিয়া বোধ থাকে না, ” এই কথা н 2