পাতা:এলিজিবেথ.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* 。 এলিজিযেথ । বলিতে বলিতে আপন পতিকে প্রেমের সহিত নিৰ্ভরে আলিঙ্গন করিলেন । ক্ষণকাল বিলম্বে তাঁহার সেই পুৰ্ব্বচিন্তার উদয় হইলে পর, তিনি পুনৰ্ব্বার কহিতে লাগিলেন, “ দেখ! আমার এলিজিবেথকে শেয়ালফের প্রতি আসক্ত দেখিয়া অামার বড়ই ভয় হইতেছে। স্মোলফ আমার এমন পরম সুন্দরী ও ধৰ্ম্মপরায়ণ কন্যাকে কেবল এক জন সামান্য হতভাগ। নিৰ্বাসিতের কন বলিয়। বোধ করিবেন, এবং ঘূণা করিয়। তাহাকে তত মান্য করিবেন না । ফলে বোধ হইতেছে তিনি এমন করিলেও করিতে পারেন । যদি তিনি তাহার প্রতি এমন করেন তবে অামার প্রাণধন এলিজিবেথ মৰ্ম্মান্তিক বেদন পাইবেক এবং যাবজ্জীবন অসুখে কালযাপন করিবেক ।” এই সকল কথা কহিতে কঙ্গিতে অন্তর্বাষ্পভরে ফেডোরার কণ্ঠ অবরুদ্ধ প্রায় হু ইয়। উঠিল, আর অধিক কথা কহিতে পারিলেন না । ইতিপূৰ্ব্বে তিনি যখন স্বামির নিকট দুঃখ প্রকাশ করিতেন তখন অনায়াসেই সেই দুঃখ সাম্ভুনা করিতে সমর্থ হইতেন । কিন্তু সম্প্রতি কন্যার ভাবি সুখের বিষয়ে শঙ্কা ও উদ্বেগ সকল কিছুতেই দূর করিতে পারিলেন না । স্পৃিঙ্গর খানিক ক্ষণ চিন্তা করিয়া কছিলেন, “প্রিয়তমে ! শান্ত হও, ধৈর্য্য অবলম্বন কর । অামি স্বয়ং এলিজিবেথকে লক্ষ্য করিয়াছি, দৃঢ় বাক্যে কহিতে পারি অামি তোমাহইতেও বরং অধিক দেখিয়াছি সন্দেহ নাই । তাহার মনের যে গতি তাছ। অামি যেমন সবিশেষ অবগত হইয়াছি তুমি তেমন অবগত হইতে পার নাই। আমি নিশ্চয় , জানিয়াছি স্মোলফের প্রতি এলিজিবেথের প্রণয় ভাব কিছুমাত্র নাই। কিন্তু ইহাও নিশ্চিত ষে বৰি এই দণ্ডে