পাতা:এলিজিবেথ.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলিঞ্জিবেথ। স্মোলীফ মহাশয়কে কন্যা দান কর, তিনি কদাচ অগ্রাহ করেন না, এবং জঙ্গল ও অসভ্য জাতি বলিয়া কিঞ্চিম্মাত্র ঘূণ বা অশ্রদ্ধা করেন না । আমার কন্য। যে অবস্থাতে আছে, স্মোলফ ইহাতেই তাহার উপযুক্ত পাত্র হইতে পারেন । তোমাকে একটী ফল কথা বলি শুন, অামার এলিজিবেথ যাবজ্জীবন বনবাসিনী থাকিয়া কাল হরণ করিবে এমন কদাচই হইবেক না । এবং অপ্রকাশ্য ভাবে যে চিরকাল থাকিবেক ইহাও অসম্ভব । ফলে এলিজিবেথের চিরদিন অসুখে থাক। আমার স্বপ্নের অগোচর। অথবা সে এ সকল ক্লেশের উপযুক্ত পাত্রই নয়। নিশ্চয় বোধ হইতেছে তাহার অদৃষ্টে এ সমস্ত যাতনা ঘটিতেই পারে না। পরমেশ্বর আমার এলিজিবেথকে যে সমস্ত অলৌকিক গুণ দিয়াছেন, তাহ। কখন না কখন অবশ্যই প্রকাশ পাইবেক সন্দেহ নাই । তবে তাহ৷ সত্বরে কি বিলম্বে হইবেক, তাহা আমাদের অগোচর। কেবল পরমেশ্বরই জানেন ।” নিৰ্ব্বাসিত হইয় অবধি স্পৃিঙ্গরের মনে আর কখনই এমত আশার উদয় হয় নাই। ফেডোরা পতির কথা শুনিয়া ভাবি.বিষয়ে অনেক সন্তেযস্থচক বাদানুবাদ ও তর্ক বিতর্ক করিতে লাগিলেন। অবশেষে তাহার কথায় নির্ভর করিয়া নিশ্চিন্ত হইয়া বসিলেন । এলিজিবেথ ক্রমাগত এই রূপে দুই মাস কাল যুবক স্মোলফের সহিত সাক্ষাৎ করিবার জন্য সেই মূকায় যাতায়াত করিতে লাগিলেন, কিন্তু তাহাতে কোন ফল দর্শিল না । যখন যান তখনি দেখেন স্মোলফ আসেন নাই । শেষে লোকমুখে শুনিতে পাইলেন যে তিনি তবলস্কহইতেও বাহির হইয়াছেন। ইহাতে তিনি মনে মনে যত আশ। ভরস। করিয়াছিলেন, ক্রমে ক্রমে সকলই লুপ্ত হইয়া পড়িল। এবং ম্মোলফ ষুে তাহাকে সম্পূর্ণরূপে বিস্মৃত হইয়া গিয়াছেন - н 3