পাতা:এলিজিবেথ.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলিজিবেথ। । * 。 সাক্ষাৎ করিতে অতি দ্রুত বেগে ধাবমান হইলেন । পিতার মুখছইতে কোন উত্তর শুনিতে আর বিলম্ব সহিল না। যাইতে যাইতে পথিমধ্যে জননীর সহিত সাক্ষাৎ হইলে এলিজিবেথ তাহাকে নির্ভর আলিঙ্গন করিয়া কছিলেন, “ মা ! আসুন আসুন শীঘ্ৰ আসুন। স্মোলফ মহাশয় আসিয়াছেন, চলুন, গিয়া তাহার সহিত সাক্ষাৎ করা যাউক ৷” এই কথা বলিয়া তাহারা উভয়েই কুর্টারাভিমুখে অতি দ্রুতপদে গমন করিলেন এবং উপস্থিত হইয়া দেখিলেন এক জন অতি মহামহিম ব্যক্তি সেনাপতির পরিচ্ছদে পরিচ্ছন্ন হইয়। ও পারিষদ্বর্গকে সমভিব্যাহারে লইয়া কুটার মধ্যে বসিয়া অাছেন । ফেডোরা ও তাহার কন্যা উভয়েই দর্শন করিবামাত্র আপাততঃ বিস্মিত ও চমকিত হইয়া উঠিলেন । নিকটস্থ ভূত “ ইনিই স্মোলফ মহাশয় ” বলিয়া পরিচয় প্রদান করিল। এলিজিবেথ সেই কথায় পুনর্বর আশাভরসাহীন হইয়া পড়িলেন। প্রফুল্ল বদন কমল সাতিশয় স্নান হইয়। উঠিল । এবং নয়ন যুগল হইতে দরদরিত ধারায় অশ্রুপাত হইতে লাগিল। ফেডের কন্যার তাদৃশ কাতরতা ও উদ্বেগ দেখিয়া সাতিশয় বিমর্ষ ও দুঃখিত হইলেন এবং অপর সাধারণে না জানিতে পারে এজন্য আপনি তাঁহাকে আপনার পশ্চাতে রাখিলেন। ফেডোরার মনে মনে এমনি হইতে লাগিল যে প্রাণ দিলেও যদি তাহার তনয়াকে সেই দুরাগ্রহহইতে মুক্ত করিতে পারেন তাহাতেও তাহার সম্মতি ছিল । প্রদেশাধিপতি নিৰ্ব্বাসিতদিগের সহিত গোপনে কথোপকথন করিবেন বলিয়া অাদে তাবৎ সঙ্গি গণকে বিদায় করিলেন। পরে শুিঙ্গরের প্রতি নিরীক্ষণ করিয়া কহিতে লাগিলেন, “দেখুন, অনেক দিন হইল, রুশিয়াধিনাথ আপনাদিগকে বিবাসিত করিয়া দিয়াছেন, কিন্তু আমি