পাতা:এলিজিবেথ.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

レ8 এলিঞ্জিবেথ। পরমেশ্বর যখন এই কন্যারত্ন প্রদান করিয়াছেন তখন আর আমাদিগকে কোন শুভ ফলেই বঞ্চিত করেন নাই । তিনি যে যে বিষয়ে আমাদিগকে আশীৰ্ব্বাদ করিয়াছেন, তাহা মনুষ্যের অন্যথা করা দুঃসাধ্য ।” প্রদেশ ধিপতি আপন মনোগত সদয় ভাব গোপন করিবার জন্য ক্ষণ কাল স্তব্ধ ভাবে থাকিলেন, অনন্তর এলিজিবেথকে পুনৰ্ব্বার সম্বোধন করিয়া কহিতে লাগিলেন, “ ভদ্রে ! দুই মাস অতীত হইল আমার পুত্র সেই মূকায় থাকিতে থাকিতে অধিনাথের নিকট হইতে এক অজ্ঞাপত্ৰ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। পত্র প্রাপ্তিমাত্রে তাহকে সেইমৃক ত্যাগ করিয়া লিবেনিয়ায় যাইয়া সেনাপতির পদে নিযুক্ত হইতে হইয়াছে । করিবেন কি, অধিরাজের অজ্ঞা অবছে লন করিতে পারেন না । ফলে তাহার তাহাতে অবাধ্যত প্রকাশ করাও অতি অকৰ্ত্তব্য । কিন্তু প্রস্থান কালে তিনি তোমাকে একখানি পত্র পাঠাইবার জন্য আমাকে বিস্তর অনুরোধ করিয়া গিয়াছেন। কিন্তু কোন আপদ ঘটিবার আশঙ্কায় অামি অন্যদ্বারা তাহ। পাঠাইতে সমর্থ হই নাই। বিশেষতঃ অন্য হস্তে পাঠাইতে বিশেষ নিষেধও অাছে। অতএব স্বয়ং সেই পত্র লইয়। আসিয়াছি, গ্রহণ কর।” - এলিজিবেথ লজ্জিতভাবে তাহার হস্ত হইতে পত্ৰখানি গ্রহণ করিলেন । প্রদেশ"াধিপতি এলিজিবেথের পিতা মাতাকে অভ্যন্ত বিস্ময়াপন্ন দেখিয়া তাহাদিগকে কহিলেন, ** আপনার বড় সুখী, পরমেশ্বর আপনাদিগকে সম্পূর্ণ রূপেই ক্ষেমভাজন করিয়াছেন । আহা ! জনক জননীর যে সুখ হইতে হয়, তাহ। আপনাদিগেরই হইয়াছে । জগদীশ্বর আপনাদিগকে যখন এমন কন্যারত্ন প্রদান করিয়াছেন তখন আর আপনাদিগের সুখের কিছুই অভাৰ