পাতা:এলিজিবেথ.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলিজিবেথ। । レe 籌 - মই । ফলে এমন হিতৈষিণী তনয়ার পিতা মাত৷ শত শত ধন্যবাদের যোগ্য তাহাতে আর কিছুমাত্র সন্দেহ নাই ।” - . . . অনন্তর তিনি নিজ পারিষদগণ ও সমভিব্যাহারী পুরুষদিগকে নিকটে ডাকিয় তাহাদের সম্মুখে স্পৃিঙ্গরকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, “ মহাশয় । আপনার প্রতি অামাদের অধিরাজের এমনি কঠিন আজ্ঞা প্রচার হয় যে আপনি এ স্থানে জন প্রাণির সহিত কদাচ আলাপাদি করিতে পাইবেন না । কিন্তু অামি তদ্বিষয়ে এক অজ্ঞা দিতেছি যে কোন পাদরি লোক চীন রাজ্যের নিকটস্থ । দেশষ্ট ইভে প্রত্যাগমন কালে আপনার আশ্রমে আসিয়৷ ৷ অতিথি হইলে, আপনি নিভয়ে তাহার আতিথ্য করিতে ও অপ্রয় দিতে সমর্থ হইবেন ।” প্রদেশাধিপতি এই সকল কথা কহিয়া প্রস্থান করিলে পর, এলিজিবেথ স্থির চিত্তে সেই পত্ৰখানির প্রতি নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন । কিন্তু সহসা খুলিতে সাহস করিলেন না । স্পৃিঙ্গর দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “ বৎসে ! যদি পাঠ করিবার জন্য পিত। মাতার অনুমতি অপেক্ষা করিয়৷ থাক তবে তাক। তোমার প্রাপ্ত হইয়াছে বোধ কর।” এলিজিবেথ এই কথা শুনিয়া কম্পিতহস্তে পত্ৰখানি উন্মোচন করিলেন এবং পড়িতে আরম্ভ করিলেন । প্রত্যেক কথাতেই তাঁহার আনন্দ অনুভব হইতে লাগিল এবং ভূরি ভরি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করিতে লাগিলেন। পাঠ সাঙ্গ ছইলে পর তিনি জনক জননীকে আলিঙ্গন করিয়া কহিলেন, “ এত দিনের পর এখন প্রকৃত সময় উপস্থিত হই- . য়াছে। এবং সকল বিষয়ই অনুকূল দেখিতেছি । পরমেশ্বরের ইচ্ছায় এখন আমার পথ নিষ্কণ্টক ও অবারিত হইয়াছে।” বোধ হইতেছে আমার অভিপ্রায়ে পরমেশ্বরের