পাতা:এলিজিবেথ.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলিজিবেথ। ** ফেডোরা এই সকল কথা শুনিয়া যৎপরোমাঙ্গি বিস্ময়াপন্ন হইলেন। ক্ষণকালের পর গদগদ স্বরে উত্তর করিলেন, “ নাথ ! আপনি বলিতেছেন কি ? যে সকল ঐশ্বৰ্য্যসুখে জলাঞ্জলি দিয়াছি, তাহার দুঃখ সহনে আমার কি সাহস প্রকাশ করা হয় নাই ? এখন পর্য্যস্ত ও অামাকে তাহার ক্লেশ ভোগ করিতে হইতেছে।” এই কথা বলিয়। তিনি প্রিয়তম পতি ও তনয়ার হস্ত আপনার বক্ষঃস্থলে বিন্যস্ত করিলেন এবং কহিলেন, “অদৃষ্টের ফল যত ইচ্ছ। তত মন্দ হউক না কেন, আমি তোমাদের উভয়ের সঙ্গে সৰ্ব্বদা থাকিতে পাইলে, তাহাতে কিছুমাত্র ক্ৰক্ষেপ করিব না।” এলিজিবেথ এই কথার উপরি উত্তর করিতে ইচ্ছা করিলেন, । কিন্তু মাতার ভয়ে কিছুই কহিতে পারিলেন না । মাত। তখন দুঃখিতভাবে কহিলেন, “ বাছ। ! এলিজিবেথ ! যদি আমার প্রাণ লইতে চাও তাহাও অমানবদনে দিতে স্বীকৃত আছি, কিন্তু তুমি আমাদিগকে ছাড়িয়া যাইতে চাহিলে আমি তাহাতে কোন মতেই সম্মত হইতে পারিব না।” ফেডোরার এই কথা শ্রবণ করিয়া এলিজিবেথের বোধ । হইল, যে তা হার জননী সমস্তই বুঝিতে পারিয়াছেন, আর এখন সে সকল কথা তাহার নিকট ব্যক্ত করিবার তত শঙ্কা নাই । তথাপি সঙ্কল্পিত বিষয়ে তাহার সম্মতি পাওয়৷ দুর্ঘট বুঝিয়া এলিজিবেথ কেবল তজ্জন্যই হতাশ হইয়া পড়িলেন । অনবরত বিগলিত বাষ্প ধারায় বক্ষঃস্থল প্লাবিত হইতে লাগিল । অবশেষে মাতার নিতান্ত বাকু লত। দেখিয়৷ কঁাপিতে কঁাপিতে গদগদ স্বরে কহিলেন,“ য। ! পিতার মঙ্গলচেষ্টার জন্য যদি কিছু দিনের নিমিত্ত অনুমতি দিতেন তাহা হইলে বড়ই ভাল হইত ।” ফেডোর কাতরবাক্যে কহিলেন, “ না ; এক দিনের জন্য ও নয়। এক দিন কাল এ কন্যানিধি ছারা হইয়। আ ম র কোন মতে '. I 2 -