পাতা:ঐতরেয় ব্রাহ্মণ - রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম অধ্যায়। ] ঐক্টরিয়া ব্ৰাহ্মণ ܐ( বিষ্ণু তাহাদের আদিতে ও অন্তে রক্ষকবৎ বাত্তমান। এজন্য প্ৰথমে উহাদেরই ইষ্টিবিধান হইতেছে, যথা-“আগ্নাবৈষ্ণবং-একাদশকপালম” একাদশ কপালে সংস্কৃত ও দীক্ষণীয় পুরোডাশ অগ্নি ও বিষ্ণুর উদ্দেশে নির্বপণি ( হবন ) করিবে । সোমব্যাগে প্ৰবৃত্ত যজমানের সংস্কারের নাম দীক্ষা বা দীক্ষণ ; দীক্ষণার্থ অনুষ্ঠানের নাম দীক্ষণীয়া । দীক্ষণীয়া কৰ্ম্মে ব্যবহাৰ্য্য বলিয়া পুরোডাশের** বিশেষণ দীক্ষণীয়। হবিঃ স্বরূপে দেয়। পাক পিষ্টকের নাম পুরোডাশ। সেই পুরোডাশ একাদশ সংখ্যক কপালে ( মৃৎপাত্রে, খোলায় ) পাক করিয়া অগ্নি ও বিষ্ণুর উদ্দেশে নিৰ্ব্বপণ” করিবে । এই পুরোডাশ প্ৰদান প্ৰভৃতি কৰ্ম্মকলাপের নাম দীক্ষণীয়া ইষ্টি। অগ্নি ও বিষ্ণুকে পুরোডাশদানের ফল, যথা“সৰ্ব্বাভ্য এবৈনিং, • • • • • নির্বপন্তি ।” এতদ্বারা সকল দেবতার উদ্দেশেই নিরবিশেষে নির্বপণ । ( পুরোডাশ প্ৰদান ) করা হইবে। প্ৰথম দেবতা অগ্নি ও অন্তিম দেবতা বিষ্ণুর উদ্দেশে হােম করিলে মধ্যবৰ্ত্তী অন্য দেবতারাও তৃপ্ত হইবেন,* কেহ বাদ পড়িবেন না ; এইরূপ বুঝিতে হইবে। একের তৃপ্তিতে অন্যের তৃপ্তি কিরূপে হইবে, তাহার উত্তর, যথা—“অগ্নিৰ্বৈসৰ্ব্বা দেবতাঃ” অগ্নিই সকল দেবতা, বিষ্ণুও সকল দেবতা। : তৈত্তিরীয় শ্রুতিতে আছে, সকল দেবতা অগ্নিতে শরীর রাখিয়াছিলেন ; সেই ( ১২ ) পুরোডাশ-ইষ্টিকৰ্ম্মে দেবতাকে যে পিষ্টক হবন করা যায়, উহার নাম পুরোডাশ । চাউলকে চূর্ণ ( পিষ্ট ) করিয়া মদন্তীনামক তাম্রপাত্রে রাখিয়া জলে ভিজাইয়া পিণ্ডের মত করা হয় ; পরে আহবনীয অগ্নিতে উহাকে অৰ্দ্ধ পৰু করিয়া কৃষ্মাকুতি করা হয়, তৎপরে উহা একাদশ কপালে, (এগারখানা খোলায়) রক্ষিত হয়, পরে সমিধা, দৰ্ভগ্নিতে পাক করিয়া তাহার উপর ঘূত সেক করা হয়। Tseot GRaN3 SJ ইড়াপাত্রে করিয়া বেদীর উপর রাখা হয় । (১৩) নির্বপণ—শকটস্থিত ধান্তরাশি হইতে চারি মুষ্টি ধান্য লইয়া শূপে ; কুলায়ু, রাখার নাম নির্বাপণ । এই অনুষ্ঠানের পর যে আহুতি দেওয়া হয়, এস্থলে কাহাৰুেই নির্বাপণ বলা *Rattus (Trige ) ( ১৭ ) এ বিষয়ে স্থায় ---“তন্মধ্যপতিতস্তাদ গ্রহণেন গৃঙ্গতে '