পাতা:ঐতরেয় ব্রাহ্মণ - রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী.pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯ম অধ্যায় ] ঐতরেয় ব্ৰাহ্মণ SOS সমানবীৰ্য্য হইলেন ; কেহ [ অন্যের অপেক্ষা ] নিকৃষ্ট হইলেন না। তদনন্তর দেবগণ এই তুষ্ণীংশংস (তন্নামক মন্ত্র) দর্শন করিলেন। ইহাদিগের সেই তুষ্ণীংশংস [ উচ্চস্বরে পঠিত না হওয়ায় ] অসুরেরা তাহার অনুসরণ করিতে পারে নাই। কেন না। এই যে তুষ্ণীংশংস, ইহা তুষ্ণীম্ভাবেই (মনে মনেই ) পঠিত হয় । দেবগণ অসুরগণের প্রতি যে যে বীজ প্রয়োগ করিয়াছিলেন, তঁহাদের সেই সেই বজেরই অসুরের প্রতীকার করিয়াছিল। তদনন্তর দেবগণ এই তুষ্ণীংশংসারাপ বাজ দর্শন করিয়াছিলেন ও তাহাই উহাদের প্রতি প্ৰয়োগ করিয়াছিলেন । অসুরের তাহার প্রতীকার করিতে পারে নাই। দেবগণ তাহাই উহাদিগের প্রতি প্ৰহার করিয়াছিলেন এবং তাহার প্রতীকার না হওয়ায় তদ্দ্বারা উহাদিগকে বধ করিয়াছিলেন। তখন দেবগণ জয় লাভ করিলেন এবং অসুরেরা পরাভূত হইল। যে ইহা জানে, তাহার দ্বেষকারী ও অনিষ্টকারী শক্ৰ পরাভূত হয়। সেই দেবগণ, আমরা জয়ী হইয়াছি, মনে করিয়া যজ্ঞ বিস্তার করিয়াছিলেন। ইহাদের যজ্ঞের বিস্ত্ৰ করিব, এই বলিয়া অসুরেরা সেই যজ্ঞের নিকট আসিয়াছিল। দেবগণ তাহ দিগকে চারিদিক হইতে উদ্ধতভাবে সমীপস্থ হইতে দেখিয়াছিলেন। তঁহারা বলিলেন, আমরা এই যজ্ঞ শীঘ্ৰ সমাপ্ত করিব, [ তাহা হইলে ] অসুরেরা আমাদের যজ্ঞ নষ্ট করিতে পরিবে: না। তাঁহাই হউক বলিয়া, ভঁাহারা সেই যজ্ঞকে তুষ্ণীংশংসে । RVD