পাতা:ঐতিহাসিক-নবন্যাস - অঙ্গখণ্ড.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০ ঐতিহাসিক-নবন্যাস । “কি কোর্বে কুলাঙ্গণর ?”, বলিয়ণ লম্ফ দিয়া তরবগল কোষ হইতে নির্গত করিয়া রাজা মাধবের প্রতি ধাবমান হইলেন। সভাস্থ লোকেরা হা হা করিয়। রাজাকে ধরিল, মাধবকে জোর করিয়ন বাহিরে লইল, অনেক কষ্টে রাজশকে শান্ত করিল । সেই দিবস সন্ধ্যার সময়ে মাধবের ভগিনী সুমতী স্বীয় গৃহে বসিয় তাহার সমবয়স্ক চতুর্দশ বর্ষীয়। একটা অনুঢ়া বালিকার সহিত কথা বাৰ্ত্ত কহিতেছেন, ও এক একবার অঞ্চল দিয়া চক্ষের জল মুচিতেছেন, সঙ্গিনীর নাম জগৎমোহিনী—তিনি রাজগৃহ নগরীর রাজা মহীপাল দেবের কন্যা, বেহারে তাছার মাতুলালয়, উভয় নগরের রাজার পরম্পর অত্যন্ত সম্প্রীত ছিল, পরম্পরের আগস। যাওয়া ছিল, সুতরাং জগৎমোহিনী বেহার নগরে অসিলে রাজী অত্যন্ত সমাদর ও যত্ন সহকারে রাজ বাটতে আনয়ন করিতেন । মেয়েট পরম। সুন্দরী, কুলে মানে সমৃতুল্য, রাজ্ঞী মাধবের সহিত বিবাহের স্থির করিয়াছিলেন, বে। বে। বলিয়া ডাকিতেন, মোহিনী যখন মাতুলালয়ে আগমন করিতেন অধিকাংশ সময় রাজবাটীতেই কাটাইতেন, মাধবের সঙ্গে সৰ্ব্বদাই সাক্ষাৎ হুইত লোক জন থাকিলে খালি ঘোমটা দিয়া ছাসিতে হাসিতে অন্য ঘরে পলাইতেন, কিন্তু একল দেখ হইলে পরস্পর হাস্য রহস্য চলিত । রাজবাটীস্থ সমস্ত লোকেই রাজধধু স্বরূপ জ্ঞান করিত, তদ্রুপ ব্যবহারও করিত। মাধব বাবুকে অন্দরে অসিতে দেখিলে সকলে মোহিনীকে একল রাখিয়।