পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (তৃতীয় বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লিখন-প্ৰণালী । NC. কখন কখনও কিছু কিছু লিখিয়া রাখিতে ( নোট করিতে) আরম্ভ করেন। কিন্তু প্ৰধানতঃ স্মৃতিশক্তির উপরই নির্ভর করিতেন । (৭) ব্যাবিলনে প্ৰথম কাদার দ্বারা অক্ষর অঙ্কিত হয়। ভারতবর্ষে লৌহ লেখনী দ্বারা বৃক্ষত্বক অথবা বুক্ষপত্র প্রধানতঃ ভূৰ্জপত্রের উপর বর্ণমালা অঙ্কিত হইত। কোন প্ৰকার কালী ব্যবহৃত হয় নাই। এই সকল ভঙ্গুর পদার্থের উপরের এই রেখা সমূহ কেবল যে পাঠোদ্ধার পক্ষে দুরূহ তাহী নহে। অধিকন্তু উহা সহজেই ভঙ্গ ও নষ্ট হইয়া যায়। (৮) লেখার উপকরণস্বরূপ এই সকল বৃক্ষপত্রের ক্ষণভঙ্গুরতা নিবারণ কল্পে ইহার অল্প দিন পরেই লিখিবার নিমিত্ত লম্বা লম্বা বল্কল বা তালীপত্ৰ $Corriso ( Corypha talipat palm tree ) ?34 < y <zi 5 &&CO WNf3 s 23 l তদনন্তর এক রকম কালী আবিষ্কৃত হয়। বৃক্ষপত্র বা বস্কলের উপর অ্যাচড় দিয়া তাহার উপর এই কাল ঘসিলে লেখা স্থায়ী হইত এবং স্পষ্টভাবে পড়া ৰাইত। এই সময় পৰ্য্যন্ত পুস্তকের উপযোগী কোন পদার্থই আবিষ্কৃত হয় নাই। শেষোক্ত আবিষ্কারের বিলম্ব হইবার প্রধান কারণ এই যে, তৎকালে লোকের, নিকট পুস্তকের উপকারিতা বা প্ৰয়োজনীয় তা উপলদ্ধি হইতে না । (৯) কিন্তু, একথা বেদের সম্বন্ধে দৃঢ়ভাবে বলা যায় না । যাহা হউক, পুরোহিতগণ এই সাহিত্যের জ্ঞান আপনাদের মধ্যে রাখিতেন,-অপরকে তাহা বিতরণ করিতে বড় অগ্রসর হইতেন না । বেদে কািতক গুলি পাঠ্যময় মন্ত্র ও নীতি আছে। পরবত্তী ধৰ্ম্ম সংহিতাদিতে বেদের অনুকরণ করা হইয়াছে। মহাত্মা শঙ্করাচাৰ্য্য অন্তরের সহিত এই সকল বেদমন্ত্র অনুমোদন ও গ্ৰহণ করিয়াছিলেন । * গৌতম বলিয়াছেন,-“যে শূদ্র ইচ্ছা পূর্বক এই বেদমন্ত্র শ্রবণ করিবে, তাহার কর্ণরন্ধ, তরল শিশার দ্বারা ভরিয়া দেওয়া হইবে । শূদ্র যদি বেদমন্ত্র উচ্চারণ করে ; তবে তাহার জিহবা কাটিয়া ফেলা হইবে । সে যদি তাহা মনে করিয়া রাখে, তবে তাহার দেহ দ্বিধা খণ্ডিত করা হইবে।” । ব্ৰাহ্মণ পুরোহিতগণের কথা এই যে, ঈশ্বর কেবল তাহাদিগকে এবং তঁহাদের বংশধরগণকেই বেদপাঠন পাঠনের অধিকার দিয়াছেন। এই হেতু ঊর্তাহারাই দেবত্বের জাৰী করিতেন। : is On the Vedanta Sutras, I. 3. 38. 1 Vu Vv g-usb) CKN qarkfÄrei »Y VVTt wv arfv