পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (তৃতীয় বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আহেরিয়া ।।** শুক্লপক্ষ, অষ্টমীর চাদ আকাশের মাঝখানে সহসা হাসিয়া উঠিল ; তাহার হাসিরাশিতে জগৎ ভরিয়া গেল। দুই একটি তারকাও নীলাকাশে জ্বল জ্বল করিতেছিল। পুষ্করের স্বচ্ছ সলিল জ্যোৎস্নাচুম্বনে, যেন ঈষৎ উচ্ছসিত হইয়া 1উঠিল । তারকারাজিও প্ৰতিফলিত হইয়া তাহাকে আরও রমণীয় করিয়া তুলিতেছিল। তীরস্থিত সৌধসমূহের শুভ্রচ্ছবি সলিলবক্ষে পড়িয়া এক অপূৰ্ব্ব শোভা বিস্তার করিতে লাগিল। সোপানাবলি জ্যোৎস্নাবিধৌত হইয়া শ্বেতমৰ্ম্মর খচিত বলিয়া বোধ হইতেছিল। তখন মন্দিরের শঙ্খ ঘণ্টা নীরব হইয়াছে। কিন্তু ভেক ও ঝিল্লীর অব্যক্ত কাতরধবনি হ্রদবক্ষে কেমন এক মৃদু গাম্ভীৰ্য্যের সঞ্চার করিতেছিল। জনকোলাহল শান্ত ও ধূপধুনার গন্ধ নিবৃত্ত হইলেও বসন্তের মন্দমারুত কোন এক সুদূর অজ্ঞাত স্থান হইতে পাপিয়ার ক্ষীণতানি ও মল্লিকার মৃদুবাস বহন করিয়া আনিতেছিল। বাসস্তী শুক্লাষ্টমীতে স্বচ্ছসলিল পুষ্করের এই মনোহারিণী শোভা সকলের হৃদয়কেই মাতাইয়া তুলিতেছিল। যে একবার সেই শোভা দেখিয়াছে, সে কিছুক্ষণের জন্য আপনার চক্ষু ও চিত্ত ফিরাইতে পারে নাই । এই অপুৰ্ব্ব শোভা দেখিবার জন্য পুষ্কর হ্রদের একটি বাঁধাঘাটে দুইটি রাজপুতবালিকা বসিয়াছিল। বালিকা দুইটি সমবয়স্ক । তাহদের বয়স দ্বাদশ কি ত্ৰয়োদশ হইবে । যৌবনোদগমে তাহদের অঙ্গে ও অষ্টমীর জ্যোৎস্নার ন্যায় সৌন্দৰ্য্য ফুটিয়া উঠিতেছিল। কিছুক্ষণ সলিলশোভা দেখিয়া তাহার কথোপকথনে প্ৰবৃত্ত হইল। একটি অপরটিকে সম্বোধন করিয়া কহিল,- s: ai is is . Tod's History of Rajasthan first e is