পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (তৃতীয় বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আহেরিয়া । SY) ! রাজি হও, তাহ’লে আমি রত্নসিংহকে সেখানে এনে তোমাদের মিলন করে দিতে পারি, যেখানে প্রথম দেখা সেখানেই প্ৰাণে বাধা।” “সাবিত্রীর মন্দিরে যাওয়া আর কঠিন কি ? দেবদর্শনে কাহারও আপত্তি হবে না, তবে তিনি কেমন ক’রে সেখানে আসবেন ?” “ও বাবা, এর মধ্যেই তিনি হয়ে গেলেন ?” “তোর ভাই, সকল কথায় পরিহাস ?” “পরিহাস না হলে ভাবি জমাট বাধে না । এই যে বল্লেম, আমি গিয়ে आमा,दा ।' “তুমি কি করে আনবে ? তবে কি কুমারের সহিত তোমার দেখা হয়েছিল ?” মীরা এইবার হাসিয়া ফেলিল। সে বলিতে লাগিল,-“যেদিন হতে তোমাদর দুজনের চারি চক্ষের মিলন হয়, সেদিন, হতে আমি বেশ লক্ষ্য ক’রে আসছি ; তোমাকে ত সকল সময়ে দেখছি, রত্নসিংহকেও অনেক সময়ে দুর হতে দেখেছি, শেষে তিনি নিজেই আমাকে ধরা দিয়েছেন।” “তবে ভাই তেঁা’র সঙ্গে তোর দেখা হয়েছিল ?” “হঁ। গো হা, তাইত বলছি তিনি আমাকে দিয়ে তোমার পাণিচূম্বনের প্ৰস্তাব করে পাঠিয়েছেন।” ”এসব কথাত তুই ভাই আমাকে একদিন ও বলিসিনি।” “তোমার মুখদিয়ে কথাটা বা’র ক’রে নিয়ে বলবো মনে করেছিলেম । আজ যখন তুমি বলে ফেলে, তখন আমিও সমস্ত কথা বল্লেম।” “তোর পেটে ভাই এত বুদ্ধি।” “তা তোমাকে জিত্তে পারিনি, এখন আমার কথায় রাজি আছ তা ?” “তুমি যা বল আমি তাতেই রাজি ।” “তবে আমার সঙ্গে সাবিত্রীমন্দিরে চল”। এই বলিয়া মীয়া কৃষ্ণার হাত ধরিয়া তুলিল, উভয়ে দাড়াইয়া ফিরিয়া দেখিল একটি যুবক তাহদের সম্মুখে দাড়াইয়া রহিয়াছে। এই যুবকই রত্নসিংহ। রত্নসিংহকে দেখিয়া প্ৰথমে উভয়ে একটু চমকিত হইল। পরে মীরা কহিল,-