পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
left
center
right

ইতিহাস কি

 । G উহা ধরার ভার। তুমি এত বড় হাইও না যেন তোমার অস্তিত্ব অন্যের পক্ষে ভারজনক বলিয়া বোধ হয় ; যেন তুমি অতি বড় হইয়া আর দশ জনকেআর হাজার জনকে-আর কোটি জনকে আচ্ছন্ন করিয়া না রাখা। যখন মনুষ্য সমাজের কোন এক শ্রেণী বা কোন এক बाईि এত বড় হইয়া ऊंठं, शांशीव्र বৃদ্ধিতে সমাজের সমাঞ্জস্য নষ্ট হয়, তখন মেদিনী ভারাক্রান্ত হন। আদ্যাশক্তির গুহ গৰ্ভ হইতে এক নূতন শক্তি উদ্ভূত হইয়া এই সাম্যনাশিনী-শক্তিকে নষ্ট । করে। রাবণ, দুৰ্য্যোধন, হিরণ্যকশিপু, কংস, শিশুপাল ও জরাসন্ধ প্ৰভৃতি রাজচক্রবত্তিগণ সমাজের সামঞ্জস্য নষ্ট করিয়াছিলেন-ধরার ভারস্বরূপ হইয়াছিলেন, তাই তঁাহাদিগকে নিশ্চিহ্ন হইয়া জগতের ইতিহাসের পত্ৰ হইতে অপসারিত হইতে হইয়াছে। ক্ষত্ৰিয়গণ অতি দুদ্ধৰ্ষ হইয়াছিলেন। তাই, একবিংশতিবার ধরাকে নিক্ষত্ৰিয় হইতে হইয়াছিল। পুরাণে এমন কত দৃষ্টান্ত আছে। আজ ঐ পূর্বকাশের কোলে যে শক্তি-সংঘট্টিন ব্যাপার দেখিতে পাওয়া যাইতেছে, তাহাতে কি বুঝিবে না, মনুষ্য-সমাজের নষ্ট সামঞ্জস্য পুনসংস্থাপিত হইবার উপক্রম হইতেছে। ইহাই আমাদের ইতিহাস। সমাজধৰ্ম্ম শিখাইবার পক্ষে ইতিহাসই একমাত্ৰ । উপায়। বঁচিয়া থাকিতে হইলে সুখে বাচিয়া থাকাই উচিত, হিন্দুর জীবনে ইহাই মূল মন্ত্র। ব্যক্তিগত হিসাবে সাধনধৰ্ম্মের দ্বারাই সুখ অর্জিত হইয়া থাকে। সামাজিক হিসাবে সমাজধৰ্ম্মের অনুসরণ দ্বারায় সর্বাপেক্ষা অধিক সুখ অর্জিত হয়। ধৰ্ম্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষ ইহাই আমাদের চতুৰ্ব্বৰ্গ। এই চতুৰ্ব্বৰ্গসাধনই জীবনের মুখ্য—একমাত্র উদ্দেশ্য। এই সাধনজনিত সুখই অভীপিসত সুখ। এই ধৰ্ম্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষের সাধনানুকুল উপদেশ পূর্ববৃত্ত কথার সহিত যাহাতে যুক্ত থাকে, তাহাই ইতিহাস। সুতরাং ইতিহাস বুঝিতে হইলে ধৰ্ম্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষ বুঝিতে হইবে। মহাভারতের শেষে বেদব্যাস বলিয়াছেন “ধৰ্ম্মাৎ অর্থশ্চ কামশ্চ” ; এখানে ধৰ্ম্ম অর্থে অদৃষ্ট। অতএব আমাদের ইতিহাস কথা বুঝিতে হইলে প্ৰথমে অদৃষ্টটা বুঝা চাইঅদৃষ্ট বিশ্বাস থাকা চাই। পুরাণেতিহাস রোচক গল্পের দ্বারা বুঝাইয়া দিবে যে,