পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

so o ঐতিহাসিক চিত্ৰ । দেখা গেল যে, ঐ স্থানে একটি প্রাচীন মন্দির রহিয়াছে। মন্দির মধ্যে সীতা, রাম লক্ষ্মীনারায়ণ শিলা প্রাপ্ত হন। লক্ষ্মীনারায়ণ শিলা যাহার গুহে প্রতিষ্ঠিত থাকেন, তাহার সৌভাগ্য অবশ্যম্ভাবী। কয়েক বৎসর পরে যখন সীতারা আপনাকে স্বাধীন রাজা বলিয়া প্রচার করিয়া মহম্মদপুরে রাজধানী স্থাপন করিলেন, তখন উপরোক্ত যে স্থলে লক্ষ্মীনারায়ণ শিলা প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন, সেই স্থানে এক নূতন মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়া তন্মধ্যে সৌভাগ্যবিধাতাকে নিশ্চল ভাবে প্রতিষ্ঠা করিলেন। সে মন্দিরটি দ্বিতল এবং অষ্টকোণাকৃতি। জুহার গাত্রে একখানি শিলা খণ্ডে লিখিত ছিল লক্ষ্মীনারায়ণস্তিীত্যৈ তর্কাক্ষিত্রসভূশিকে। নিৰ্ম্মিতং পিতৃপুণ্যাৰ্থং সীতারামেণ মন্দিরাম ৷ অর্থাৎ ১৭০৪ খৃষ্টাব্দে ( ১৬২৬ শকে) সীতারাম পিতৃপূর্ণ্যার্থে এই মন্দির নিৰ্ম্মাণ করেন। কেবল লক্ষ্মীনারায়ণ নহেন, সীতারাম অন্যান্য অনেক দেবদেবীর প্রতিষ্ঠা ও পূজা পদ্ধতির ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। লক্ষ্মীনারায়ণের মন্দিরের পাশ্বে একটি পরম সুন্দর বহুকারুকাৰ্য্য খচিত বিচিত্ৰ মন্দিরে কৃষ্ণজী বিগ্রহের প্রতিষ্ঠা হইল। যখন দিঘাপাতিয়ারাজের পূর্বপুরুষ দয়ারাম বাহা, দুর সীতারামের সর্বনাশ করিবার জন্য আসিয়াছিলেন, তখন তিনিই কৃষ্ণজী বিগ্ৰহকে অপহরণ করিয়া লইয়া যান। আজিও দিঘাপাতিয়া, রাজবাটীতে সে অপহৃত বিগ্রহের পূজা হইয়া থাকে। আর সে অপূৰ্ব্ব মন্দির লতাপাতা বিমণ্ডিত হইয়া বিষন্ন অবস্থায় পড়িয়া আছে। ১৬৯৯ খৃষ্টাব্দে সীতারাম কর্তৃক দশভূজার মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু এ সকল মন্দির অপেক্ষা অদূরবত্তী কানাইনগর গ্রামে ১৭০৩ খৃষ্টাব্দের প্রাকালে তিনি হরেকৃষ্ণ বিগ্রহের স্থাপনার জন্য যে মন্দির নিৰ্ম্মাণ করেন, তাহা অধিকতর সুন্দর এবং বিচিত্র শিল্পকাৰ্য্য সমন্বিত। উক্ত মন্দিরের গোলাকার ফলকে লিখিত আছে — · বাণদ্বন্দ্বাঙ্গচন্দ্ৰৈঃ পরিগণিতশকে কৃষ্ণতোষাভিলাষঃ =' শ্ৰীমদ্বিশ্বাসখাসোদ্ভব কুলকমলোদ্ভাসকোতু ভানুল্যঃ।