পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S oኴፖ ঐতিহাসিক চিত্ৰ । তিনি যে সকল ক্ষুদ্র ও বৃহৎ সরোবর প্রতিষ্ঠা করিয়া গিয়াছিলেন এখনও তাহার অনেকগুলি বর্তমান থাকিয়া তৎপ্রদেশের জলকষ্ট নিবারণ করিতেছে। সীতা, রামের “রামসাগর” নামক দীর্ঘিকার মত সুপেয় সলিলপূর্ণ প্ৰকাণ্ড জলাশয় যশোর জেলায় আর নাই। কৃষ্ণসাগরের জলের মত স্বচ্ছ সলিল অতীব বিরল মহম্মদপুর ও তৎপার্শ্ববৰ্ত্তী স্থানে যে এই রূপ কত জলাশয় আছে, তাহার ইয়াত্ত নাই। মহম্মদপুর হইতে ৫ ক্রোশ দূরে বলেশ্বরপুরে এবং ৬ ক্রোশ দূরে লস্কর পুরে দুইটি প্ৰকাণ্ড দীর্ঘিকা আছে। বঁাশগ্রাম বগুড়ায়ও দীঘিকা এবং গড় আছে। মহম্মদপুর হইতে উত্তর পশ্চিম কোণে দেড় ক্রোশ দুরে শ্যামগঞ্জে সীতারামের পুত্র শ্যামসুন্দর রায়ের প্রাসাদ ছিল তথায় এবং অদূরবীৰ্ত্তী দিগনগরে কতকগুলি উৎকৃষ্ট সরোবর আছে। সুৰ্য্যকুণ্ড গ্রামের “দাসের পুকুর” এখনও সীতারামের মহিমা কীৰ্ত্তন করিতেছে। এই স্থানে তঁহার ভগিনীপতি রঘুনাথ দাসের নিবাস ছিল। যাহারা রামসাগর প্রভৃতি প্রশস্ত পরিচ্ছন্ন তাড়াগের অপূর্ব শোভা নয়নগোচর করিয়াছেন, সীতারামের জলদান পুণ্যের প্রবাদবাক তাহাদের নিকট নিঃসন্দেহে সত্য বলিয়া প্ৰতীত হইবে। যে পঞ্চম কাশ্নশিক প্ৰবীণ নৃপতি দেবতা, ব্ৰাহ্মণ ও প্রজাবর্গের উদ্দেশে এই সকল সৎকীৰ্ত্তি রাখিয়া নশ্বর দেহ পরিত্যাগ করিয়াছেন, তাহার ধৰ্ম্ম প্ৰাণতায় সন্দিহান হইবার কোনই কারণ নাই । শ্ৰীসতীশচন্দ্ৰ মিত্ৰ।