পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগৎশেঠ । mun(33mm দ্বিতীয় অধ্যায়। মাণিক চাদ । খৃষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীর শেষভাগে ঢাকা, বাঙ্গলা বিহার ও উড়িষ্যার রাজধানীপদে প্রতিষ্ঠিত ছিল। বাঙ্গালার প্রাচীন রাজধানী গৌড় মহামারীতে ধ্বংসপ্ৰাপ্ত হইলে, বঙ্গসিংহাসন টাড়া, রাজমহল প্ৰভৃতি স্থানে কিছু দিন অবস্থান করিয়া অবশেষে পূৰ্ব্ববঙ্গের গৌরবস্থল ঢাকায় আশ্রয় গ্ৰহণ করিতে বাধ্য হয়। যোড়শ শতাব্দী হইতে নিম্নবঙ্গ নানারূপ অত্যাচার সহ করিতেছিল। পর্তুগীজ, মগাপ্রভৃতি দস্যগণের উপদ্রবে বঙ্গভূমি জলে স্থলে সৰ্ব্বত্রই সন্ত্ৰাসিত হইয়া উঠিয়াছিল, ইহার সঙ্গে উড়িষ্যার পাঠানদিগের অত্যাচারও মিশ্রিত হয়। এতদ্ভিন্ন ইয়োরোপীয়গণ সেই সময়ে বাণিজ্যের জন্য বঙ্গদেশকে একরূপ আপনাদের আবাসভূমি করিয়া তুলিয়াছিলেন। বাঙ্গলার শেষপ্রান্তে রাজধানী স্থাপিত হওস্নায় তাহারা অনেক পরিমাণে অবাধ বাণিজ্যের সুখভোগ করিতেছিলেন। এই সমস্ত বিষয় দমন করিবার জন্য ঢাকা রাজধানীর উপযুক্ত স্থান ৰুলিয়া ৰিবেচিত হয়। ১৬০৮ খৃষ্টাব্দে ইস্মাইল খাঁ বাঙ্গলার সুবাদারের পদে প্রতিষ্ঠিত হইলে, তিনি পুৰ্ব্বোক্ত উপদ্রব সকল নিবারণের জন্য, বিশেষতঃ ফিরিঙ্গি জলদসু্যদিগকে উপযুক্ত শিক্ষা দিবার ইচ্ছায়, ঢাকায় মসনদ স্থাপন করিতে বাধ্য হন। কিন্তু ১৬৩৯ খৃষ্টাব্দে সা সুজা পুনর্বার রাজমহলে মসনদ লইয়া আসেন। সম্রাট সাজাহাঁর মৃত্যুর পর তাহার পুত্রদিগের মধ্যে অন্তর্বিবাদ উপস্থিত হইলে আরঙ্গজেব সা সুজাকে দমন করিবার জন্য র্তাহার প্রধান সেনাপতি মীরজুমাকে প্রেরণ করেন, মীরজুয়া সা সুজাকে রাজমহল হইতে বিচাড়িত করিয়া পূর্ববঙ্গে,