পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

፵5isርጫ፩ | SSY |महरु, ক্ৰমে ক্ৰমে উভয়ের মধ্যে বেশ একটু সৌহার্দ্য স্থাপিত হইল। তৎকালে দেওয়ানের ক্ষমতাও অসীম ছিল, সুতরাং দেওয়ান মুর্শিদের উৎসাহে ও সাহায্যে মাণিকচাদের যে দিন দিন উন্নতি লাভ হইবে তাহাতে আর সন্দেহ কি ? বাস্তবিকই দেওয়ানের জন্য র্তাহার উন্নতি ক্রমেই বদ্ধিস্থ হইতে লাগিল। মোগল বাদশাহদিগের সময় হইতে বাঙ্গলার রাজস্বসম্বন্ধে সুবন্দোবস্ত হয়, সম্রাট আরঙ্গজেব উক্ত রাজস্বের বন্দোবস্তের জন্য দেওয়ানের পদ সৃষ্টি করেন। র্তাহার। আর এক উদ্দেশ্য ছিল এই যে, নবাবের হস্ত হইতে কতক ক্ষমতা লইয়া আর একজন প্ৰধান কৰ্ম্মচারীকে অৰ্পণ করিলে, উভয়েরই ক্ষমতা কতকটা সুসংঘাত হইবে। একজনের হস্তে সমস্ত ক্ষমতা থাকিলে ভবিষ্যতে নানারূপ গোলযোগ ঘটিতে পারিত। সেই সময় হইতে নাজিম ও দেওয়ান এই দুই পৃথক পদের সৃষ্টি হয়। যুদ্ধ ও শাসনসংক্রান্ত সমস্ত ভার নাজিমের উপর অর্পিত হইত। তিনিই সাধারণতঃ নবাব বা সুবাদার নামে অভিহিত হইতেন । দেওয়ান রাজস্ব সংগ্ৰহ, তাহার বন্দোবস্ত ও সেইরূপ অন্যান্য কাৰ্য্য এবং কোষাধ্যাক্ষেরও কাৰ্য্য করতেন। তাহার হস্ত হইতে রাজ্যসংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ে অর্থাদির ব্যয় হইত, এমন কি, নাজিমকে পৰ্য্যন্তও দেওয়ানের নিকট হইতেই বেতন গ্ৰহণ করিতে হইত। ইহাতে বুঝা যায় যে, দেওয়ানেরও ক্ষমতা নিতান্ত অল্প ছিল না, অথচ এক জনে সম্পূর্ণ ক্ষমতা প্ৰাপ্ত হইতেন না । মুর্শিদ কুলি খার পূর্বে বাঙ্গলা হইতে অতি অল্প পরিমাণেই রাজস্ব সংগৃহীত হইত, অথচ বাঙ্গল চিরদিনই স্বর্ণপ্ৰসবিনী বলিয়া বিখ্যাত ছিল । বাঙ্গলার রাজস্ব অনেক অসদুপায়ে ব্যয়িত হইত, এবং উহার অনেক ভূমি জায়গীরীরূপে নির্দিষ্ট থাকায় অধিক পরিমাণে রাজস্ব আদায় হইতে পারিত না । বাঙ্গলার রাজস্বের ক্রমেই ঘব দেখিয়া বাদশাহ আরঙ্গজেব। ইহার সুবন্দোবস্তের জন্য কাৰ্য্যদক্ষ মুর্শিদ কুলিকে বাঙ্গলায় পাঠাইয়া দিয়াছিলেন। মুর্শিদ কুলি খাঁ ব্ৰাহ্মণের সন্তান বলিয়া বিখ্যাত, একজন পারসীক সওদা- ৷ গর তঁহাকে দাসরূপে ক্রয় করিয়া পারস্যে লইয়া যান, ও তথায় মুসল্মান ধৰ্ম্মে দীক্ষিত করেন। তিনি তথা হইতে দাক্ষিণাত্যে আগমন করিয়া বেরা-: 6