পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগৎশেঠ । S२s এই সকল জমিদারদিগের মধ্যে নাটোর বা রাজসাহীর, বৰ্দ্ধমানের, দিনাজপুরের, নদীয়ার ও বিষ্ণুপুরের রাজারাই প্রধান। এতদ্ভিন্ন বীরভূমের জমিদারেরও উল্লেখ দেখা যায়। বিষ্ণুপুর কতকটা স্বাধীন ভাবেও কাৰ্য্য করিতেন। ত্রিপুরা ও কুচবিহারের স্বাধীন রাজাদিগকে জয় করিয়া তাহাদিগকে করদ রূপে গণ্য করা হয়। যে সকল জমিদারদিগের রাজস্ব আদায় হইত না, তঁাহারা ধৃত হইয়া মুর্শিদাবাদে আনীত তইতেন ; এবং তঁহাদের প্রতি যথেষ্ট অত্যাচার করাও হইত। কয়েক জন লোকের প্রতি এই উৎপীড়নের ভার প্রদত্ত হইয়াছিল। তাহাদের মধ্যে নাজীর আমেদ ও সৈয়দ রেজা খাঁ প্ৰধান। রেজা খাঁ নবাবের স্বসম্পৰ্কীয় হওয়ায় তাহার ক্ষমতা অসীম হইয়া উঠে। তিনি দুৰ্গন্ধময় নানা আবর্জনাপূর্ণ এক নরক কুণ্ড স্থাপন করিয়া তাহাতে জমিদারদিগকে নিক্ষেপ করিতেন, এবং হিন্দুদিগকে উপহাস করিবার জন্য তাহার “বৈকুণ্ঠ” আখ্যা প্ৰদান করেন । যে সমস্ত জমিদারের হস্ত হইতে জমিদারী কাড়িয়া লওয়া হাইতি, জাবি কার জন্য র্তাহাদিগকে নানকার, বনকর ও জলকার নামে কতকগুলি বৃত্তি প্ৰদত্ত হইত। কোন স্থানে তাহদের পরিবৰ্ত্তে জমি দেওয়ারও ব্যবস্থা ছিল। অনেক উৎপীড়িত জমিদার মুর্শিদাবাদে বন্দী অবস্থায় কাল কাটা, ইতে বাধ্য হন, নবাব সুজা উদ্দীন তাহাদিগকে মুক্তি প্ৰদান করিয়া উৎপীড়নকারী কৰ্ম্মচারিগণের মধ্যে কাহারও কাহারও দণ্ডবিধান করিয়াছিলেন । রাজস্ব ও শাসন সুচারুরূপে নিৰ্ব্বাহ করার জন্য নবাব মুর্শিদ কুলি সমস্ত বাঙ্গলা ১৩টি চাকলায় বিভক্ত করেন। রাজা তোডরমল্পের সময়ে সমস্ত বাঙ্গলা ১৯। সরকারে ও ৬৮২ পরগণায় বিভক্ত হয় । এক্ষণে তাহ ১৩ চাকলায় ৩৪ সরকারে ও ১৬৬০ পরগণায় বিভক্ত হইয়া ১৪,২৮৮১৮৬২ টাকা মোট জমা নির্দিষ্ট হইল। এই ১৩ চাকলার মধ্যে হিজলী ও বন্দর বালেশ্বর উড়িষ্যা হইতে । গৃহীত হয়। সপ্তগ্রাম, বৰ্দ্ধমান, মুর্শিদাবাদ, যশোহর ও ভূষণা। এই পাঁচটি গঙ্গা । বা পদ্মার পশ্চিম, এবং আকবরনগর (রাজমহল, ) ঘোড়াঘাট, কড়াইবাড়ী, । জাহাঙ্গীরনগর (ঢাকা), শ্ৰীহট্ট, ইসলামাবাদ (চট্টগ্রাম), এই ছয়টি পদ্মার উত্তর ওঁ, SV