পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মণ-সর্বস্ব । ১৬১ ৷৷ “পাত্ৰং দারুময়ং কচিৎ বিজয়তে, হৈমং কচিদ্ভাজনং কুত্ৰাপ্যাস্তি দুকুলমিদুধবলং, কৃষ্ণাজিনং কাপি চ। ধূমঃ কাপি বিষটকৃতাহুতিকৃতো, ধূমঃ পরঃ কাপ্যভূৎ আগ্নেঃ কৰ্ম্মফলং চ তস্য যুগপজ্জাগৰ্ত্তি যন্মন্দিরে।” এইরূপে নিয়ত রাজকাৰ্য্যে ব্যাপৃত থাকিয়g, হলায়ুধ অবসর সময়ে স্বদেশের কল্যাণ-কামনায় (১) মীমাংসা-সৰ্ব্বস্ব, (২) বৈষ্ণব-সৰ্ব্বস্ব, (৩) শৈব-সৰ্ব্বস্ব, ও (৪) পণ্ডিত-সর্বস্ব নামক বিস্তৃত গ্ৰন্থসংকলন করিয়া, অবশেষে “ব্ৰাহ্মণ-সর্বস্ব।” রচনায় প্ৰবৃত্ত হইয়াছিলেন। এই গ্ৰন্থ সংগ্ৰহ ও ব্যাখ্যা পুস্তক ; ইহা সন্ধ্যাদি নিত্যনৈমিত্তিক ক্রিয়াকাণ্ডের অবশ্যপাঠ্য বেদমন্ত্রাদির সুলিখিত ভাষ্যগ্রন্থ। হল্যায়ুধের পূৰ্ব্বে বেদমন্ত্রের এরূপ ভাষ্য প্রচলিত ছিল না। উত্তরকালে সায়নাচাৰ্য্য ভাষ্য রচনা করিবার সময়ে, হলায়ুধের মন্ত্র-ব্যাখ্যার সহায়তা লাভ করিয়া ছিলেন । “আসন বা কতি, সন্তি বা কতি ন কিং ক্ষ্মমণ্ডলে পণ্ডিতঃ ? ব্যাখ্যাতে নাহি কেনচিৎ যুগপদাচাৰ্য্যোণ বেদঃ পরম। অস্পষ্টং তদপীত্যানেন বিদুষী বিশ্বপ্রসিদ্ধৈঃ পদৈঃ সন্ধ্যাদি।দ্বিজকৰ্ম্ম-মন্ত্রবচসাং ব্যাখ্যানমেতৎ কৃতম ||” । ভূমণ্ডলে কত না পণ্ডিত বৰ্ত্তমান ছিলেন, এখনই বা কত না পণ্ডিত বৰ্ত্তমান আছেন। কত আচাৰ্য্যই না যুগপৎ বেদব্যাখ্যা করিয়াছেন। কিন্তু এত ব্যাখ্যা থাকিতেও, বেদাৰ্থ অস্পষ্ট হইয়া উঠিয়াছে বলিয়া, সুপণ্ডিত হলায়ুধ সন্ধ্যাদিমন্ত্রের ব্যাখ্যান লিপিবদ্ধ করিয়াছিলেন। ইহার মূল উদ্দেশ্য নানা ভাবে উল্লিখিত হইয়াছে। হলায়ুধের সময়ে কান্তকুজাগত ব্ৰাহ্মণগণের অধস্তন দ্বাদশ-ত্ৰয়োদশ পুরুষের বংশধরগণ বৰ্ত্তমান ছিলেন। র্তাহারা রাঢ়ী ও বারেন্দ্ৰ নামক ভাগদ্বয়ে বিভক্ত হইয়া পড়িয়াছিলেন। কিন্তু কি রাঢ়ী, কি বারেন্দ্ৰ, সকলেই বেদার্থজ্ঞানবিরহিত হইয়া, কেবল কৰ্ম্ম-মীমাংসা দ্বারায় যজ্ঞাদি সম্পাদনা করিতেন । হলায়ুধ আবিভূতি হইবার পূর্বে, বেদমন্ত্রের আবৃত্তিমাত্রই যথেষ্ট বলিয়া পরি চিত হইয়াছিল। তাহা যে অধঃপতনের পুর্বসূচনা, তৎপ্রতি লক্ষ্য করিয়াই,