পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R ऊिछ्ांनि 6िद्ध । হলায়ুধ বেদার্থব্যাখ্যায় বঙ্গীয় ব্ৰাহ্মণ-সমাজকে প্ৰবুদ্ধ করিবার আশায় “ব্ৰাহ্মণসৰ্বস্ব।” রচনায় প্ৰবৃত্ত হইয়াছিলেন। প্রথমেই সে কথা স্পষ্টাক্ষরে উল্লিখিত হইয়াছে। “তত্ৰ চ কলীে আয়ুঃ প্রজ্ঞোৎসাহ-শ্রদ্ধাব্দীন মল্লত্বাৎ, উৎকাল-পাশ্চাত্যাদিভি ৰ্বেদাধ্যয়ন মান্তং ক্রিয়তে। রাঢ়ীয়-বারোন্দ্ৰৈ স্তু অধ্যয়নং বিনা কিয়দেক-বেদাথান্ত কৰ্ম্মমীমাংসাদ্ধারেণ যজ্ঞেতিকৰ্ত্তব্যতা-বিচারঃ ক্রিয়তে। ন চৈতেনাপি মন্ত্রাত্মক-বেদার্থজ্ঞানং মন্ত্রার্থজ্ঞানস্তৈব যৎ প্রয়োজনং।। যতস্তৎ পরিজ্ঞান এবং শুভফলং, তদজ্ঞানে চ দোষঃ শ্ৰয়তে ৷” হলায়ুধ নানা শাস্ত্ৰগ্ৰন্থ হইতে সযত্নে প্ৰমাণ সংগ্ৰহ করিয়া, বেদার্থজ্ঞান লাভ করিবার প্রয়োজন প্রদর্শনের চেষ্টায়, বঙ্গীয় ব্ৰাহ্মণগণকে নানারূপে উত্তেজিত করিয়াছিলেন। র্তাহার মন্ত্রার্থব্যাখ্যা যেমন সরল, সেইরূপ পাণ্ডিত্যপূর্ণ। তিনি কিরূপ ব্ৰাহ্মণ ছিলেন, তঁাহার ব্যাখ্যাই তাহার প্রকৃষ্ঠ প্ৰমাণ । তাহা পাঠ করিতে করিতে হলায়ুধের স্বধৰ্ম্মনিষ্ঠা ও তাহার মন্ত্রব্যাখ্যার উদারমতের পরিচয় প্রাপ্ত হইবামাত্র, তাহার চরণে শ্রদ্ধাবনতমস্তকে প্ৰণিপাত করিতে হয়। র্তাহার “গায়ত্রী ব্যাখ্যা” ও “পুরুষ-সুক্ত ব্যাখ্যা” পৃথক মুদ্রিত ও প্রচারিত হইবার যোগ্য। হল্যায়ুধের কোন “পদ্ধতি” রচনা করিবার প্রমাণ প্ৰাপ্ত হওয়া যায় না ; বরং “ব্ৰাহ্মণ-সর্বম্বে।” দেখিতে পাওয়া যায়, তিনি কোন “পদ্ধতি” রচনা করেন নাই।।*।। কিন্তু হলায়ুধ বিরচিত “কৰ্ম্মোপদেশিনী” নামে একখানি পদ্ধতি গ্ৰন্থ প্ৰচলিত আছে। তাহার আরম্ভ। এই রূপ। “দৃষ্ট পারস্করং সুত্ৰং স্মৃতিমালোক্য সৰ্ব্বশঃ। ব্যাসন্ত বচনং দৃষ্টা মুনীনাং সংহিতাং তথা । যুক্ত্য চ স্বয়মালোক্য বৃদ্ধানাং সর্বসম্মত । হলায়ুধেন রচিত সম্যক্‌ কৰ্ম্মোপদেশিনী ॥” অভিধান-চিন্তামণি নামক একখানি অভিধানও হল্যায়ুধবিরচিত বলিয়া সুপরিচিত।