পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগৎশেঠ । 曲 >" @ | বিষয়ে শ্বশুর জামাতায় ঐক্য হইত না। এতদ্ব্যতীত মুর্শিদকুলী খাঁ জিতেন্দ্ৰিয় পুরুষ বলিয়া, ইন্দ্রিয়পরায়ণ জামাতাকে বিরক্তির চক্ষে দেখিতেন। মুর্শিদকুলী এই সমস্ত কারণে জামাতাকে সিংহাসন দিবার ইচ্ছা না করিয়া দৌহিত্র সরফজারকে মুর্শিদাবাদের নবাব মনোনীত করিয়া যান। কিন্তু দৌহিত্রের চরিত্র যেরূপ ইতিহাসে দৃষ্ট হয়, তাহাতে তিনি টুকু করিয়া দৌহিত্রকে মনােনীত করিয়া যান বুঝা যায় না। বোধ হয় মুর্শিদকুলীর জীবনকালে তঁাহার দৌহিত্রের চরিত্র স্কুটতর হয় নাই। মুর্শিদকুলী সরফরাজের জন্য মুর্শিদাবাদের সিংহাসনদানের চেষ্টা করিলেও, তাহার মৃত্যুর পর সরফরাজ উক্ত সিংহাসনে আরোহণ করিতে পারেন নাই। সুজাউদ্দীন মুর্শিদকুলী খাঁর মৃত্যুর পর হইতে দিল্লীর দরবারে সিংহাসন প্ৰাপ্তির চেষ্টা করিয়া কৃতকাৰ্য্য হইয়াছিলেন, কাজেই মুর্শিদকুলী খাঁর ইচ্ছা ও চেষ্টাসত্ত্বেও সরফরাজ বাঙ্গালার নবাবী প্রাপ্ত হন নাই। সুজাউদ্দীনের উড়িষ্যায় অবস্থানকালে আলীবর্দি খাঁ ও র্তাহার ভ্ৰাত হাজী মহম্মদ সুজার অধীনে কাৰ্য্যে নিযুক্ত হন। তঁাহারা সুজার কোন আত্মীয়ের সন্তান। সুজা উভয় ভ্রাতার পরামর্শানুসারে সমস্ত কাৰ্য্য করিতেন। দুই ভ্রাতার মধ্যে আলীবর্দীই অপেক্ষাকৃত বুদ্ধিমান ও কাৰ্য্যদক্ষ ছিলেন। যুদ্ধসংক্রান্ত বিষয়েও তঁাহার বিশেষ পারদর্শিতা ছিল । তাহদেরই পরামর্শক্রমে সুজা দিল্লী-দরবার হইতে সিংহাসন প্ৰাপ্তির চেষ্টা করিয়া সফলকাম হন। সুজাউদ্দীন মুর্শিদকুলীর মৃত্যুর পর উড়িষ্যা হইতে মুর্শিদাবাদে উপস্থিত হইলে সরফরাজ পিতার কোনরূপ বিরুদ্ধাচরণ করেন নাই। জগৎশেঠ ফতেচাদ ও অন্যান্য অমাত্যবৰ্গ তাহাকে পিতার বশ্যতাস্বীকারের পরামর্শ দিয়া, ছিলেন। সরফরাজ যদি সেই পরামর্শানুসারে। কাৰ্য্য না করিতেন তাহা হইলে পিতাপুত্রের গৃহবিবাদে বাঙ্গালায় এক অশান্তির অগ্নি প্ৰজ্বলিত হইত। ফতে চাঁদ প্রভৃতি এ বিষয়ে যে সৎপরামর্শই দিয়াছিলেন সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। : সুজাউদ্দীন পুত্রের ব্যবহারে প্রীত হইয়া তাহাকে বাঙ্গালার দেওয়ানীপদে । নিযুক্ত করিলেন, এবং রায় আলমৰ্চাদ নামক এক ব্যক্তিকে তাহার সহকারী f is 卓

?, ჭჭზე